রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সার্বজনীন করার সুযোগ নেই: অধ্যাপক মাহবুব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

pro Mahbubআতাউর রহমান খসরু : সরকার শিক্ষা সিলেবাসে নাস্তিক্যবাদী চিন্তা চেতনার বাস্তবায়ন করতে না পেরে নাস্তিক্যাবাদীদের সন্তুষ্ট করতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ পহেলা বৈশাখ উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু নাস্তিক্যবাদী সিলেবাস যেমন এদেশের ইসলামপ্রিয় মুসলমান মেনে নেয় নি, তেমন মঙ্গলশোভা যাত্রার নির্দেশও তারা মানবে না। গতকাল আওয়ার ইসলামকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটিই মন্তব্য করেন জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় আহবায়ক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান

তিনি বলেন, আমি একজন মুসলিম ও একজন শিক্ষক হিসেবে ৯২ ভাগ দেশে একটি হিন্দুয়ানি সংস্কৃতিকে সার্বজনীন করার এ চেষ্টাকে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছি। এর বিরুদ্ধে ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানানো ছাড়া আমার সামনে আর কোনো পথখোলা নেই।

তার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, মঙ্গলশোভা যাত্রা ও বর্ষবরণ সার্বজনীন হলে আপত্তি কোথায়? উত্তরে অধ্যাপক মাহবুব বলেন, এর কোনোটিই ইসলামে অনুমোদিত নয়। রাসুলুল্লাহ সা. বর্ষবরণ উৎসব পালন করতে নিষেধ করেছেন। মঙ্গলশোভা যাত্রার সঙ্গে হিন্দুদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও বিশেষ ধরনের পূজো সম্পৃক্ত তাই তা কোনো মুসলিম পালন করতে পারে না।

তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন করেন, দেশের জনগণ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত, দেশে আইনশৃংখলার অবস্থা শোচনীয়, জঙ্গি উৎপাত বাড়ছে তখন আপনাদের মনে এতো সুখ কোথা থেকে আসে যে, বর্ষবরণকে সার্বজনীন উৎসবে পরিণত করতে চাচ্ছেন।

[caption id="attachment_30246" align="aligncenter" width="760"]mausi-28 ইন্টারনেটে পাওয়া প্রজ্ঞাপনের কপি[/caption]

এ নির্দেশনা পালন করা হলে আগামী প্রজন্মের উপর এর কী প্রভাব পড়বে? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ এমনিতেই জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। মানুষ ঈদের পর সবচেয়ে বড় উৎসব হিসেবে তা পালন করে। এখন সরকার যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তা পালনে বাধ্য করে, তবে তা কোমলমতি শিশুদের মন-মস্তিষ্কে বসে যাবে। তারা অভ্যস্ত হয়ে যাবে। ফলে এক সময় মানুষের ভেতর এ বোধটাই থাকবে না যে, এসব উৎসবের অনুমতি ইসলাম দেয় না।

আলাপচারিতার শেষ পর্যায়ে এ শিক্ষক নেতা সারা দেশে তার সহকর্মী ও সহযোদ্ধা শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান তারা যেনো নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে এর প্রতিবাদ করেন এবং ঈমান বিধ্বংসী যেকোনো কাজ থেকে বিরত থাকেন।

একইভাবে তিনি ছাত্রদের প্রতি আহবান জানান তারা যেনো বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ও মঙ্গলশোভা যাত্রায় অংশগ্রহণ না করেন। কোমলমতি অবুঝ শিশুদেরকে যেনো তাদের পিতা-মাতা ও অভিভাবকগণ এমন হারাম কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখেন সে আহবান জানান অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান।

এ ব্যাপারে জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কোনো কর্মসূচি আছে কি না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি সরকার আমাদের দাবির যৌক্তিকতা বুঝতে পারবে। তারা যদি সহজে আমাদের দাবি না মানে তাহলে আমরা ঈমান, ইসলাম ও দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষায় কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ