বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার ৬ দিনের সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

আদিত্যনাথের মুসলিম বিদ্বেষের সমালোচনা করলেন মমতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

momotaআওয়ার ইসলাম : এবার ভারতের উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সমালোচনায় মুখর হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে ধর্মীয় বিভাজন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার বার্তা দিয়েছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মানুষ আজ ভীত। জাতি, ধর্মের ভেদাভেদের কারণে অনেকেই আতঙ্কিত। মনে রাখতে হবে আমরা সকলেই এক। সরকারের দায়িত্ব সকলের পাশে দাঁড়ানো।’

তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ (সকলের সঙ্গে সবার উন্নয়ন) শুধু বললেই হবে না, কাজে করে দেখাতে হবে।’

মমতা বন্দোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘সকলের উচিত সংবিধানের গরিমা রক্ষা করা যাতে আগামী দিনে সংবিধান আমাদের পাথেয় হতে পারে।’ এভাবে তিনি হিন্দুত্ববাদীদের উদ্দেশ্যে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার প্রশ্নে সাফাই দিয়েছেন বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে এক সমাবেশে মমতা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি সব মানুষ সমান। সব অঙ্গ ছাড়া মানব শরীর অসম্পূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দাঙ্গার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। বাংলায় তা করতেও দেব না কাউকে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান–সহ সব ধর্মের মানুষকে নিয়েই চলতে হবে আমাদের। কোনো ভেদাভেদ চলবে না।’

তিনি বিভেদকামীদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘এ মাটি বড় শক্ত। এখানে দুর্বৃত্তদের কোনও জায়গা নেই।’

উত্তর প্রদেশে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেখানে একের পর এক কসাইখানা বন্ধ হওয়ায় বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বিয়ের মত সামাজিক অনুষ্ঠানে সেখানে মহিষের গোশতও ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে না। সেখানকার একাংশের মানুষদের এতদিনের খাদ্যাভ্যাসেরও পরিবর্তন হতে চলেছে।

এসব ঘটনায় মুসলিমদের পাশাপাশি দলিতরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দরিদ্র শ্রেণির মানুষজনের সস্তায় গরুর/মহিষের গোশত খাওয়ার পথ বন্ধ। দলিতরা যে গবাদি পশুর চামড়া বিক্রি করে উপার্জন করবেন তারও আর উপায় থাকছে না। সে পথও বন্ধ হতে চলেছে।

সূত্র : পার্সটুডে

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ