বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


গরু জবাই করলে হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি: কসাইদের ধর্মঘট

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

uttar_prodesh_meetভারতের বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে কসাইখনা বন্ধের প্রতিবাদে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন গোশত ব্যবসায়ীরা। তাদের সঙ্গে মাছ ব্যবসায়ীরাও শামিল হয়েছেন। দু’দিন আগে থেকে অঘোষিতভাবে ধর্মঘট শুরু হলেও আজ (সোমবার) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।

লখনৌয়ের মিট মুর্গা ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সভাপতি চৌধুরী ইকবাল কুরেশি বলেন, ২৫ মার্চ থেকে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হলেও কিছু লোকের কাছে পুরনো গোশত ও মাছ মজুদ থাকায় সেগুলো বিক্রি করার পর সোমবার থেকে ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি তাদের ঘোষণাপত্রে অবৈধ কসাইখানা বন্ধ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিজেপি’র ফায়ারব্রান্ড নেতা যোগী আদিত্যনাথ সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পর থেকে কসাইখানা বন্ধ হওয়া শুরু হয়েছে।

গোশত ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ইকবাল কুরেশি বলেন, লক্ষনৌতে মোট লাইসেন্সের সংখ্যা ৬০৩। এরমধ্যে ৩৪০ টির লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে। অন্যগুলো নবায়ন করা হয়নি। এসবের পাশাপাশি বিনা লাইসেন্সেও অনেক দোকান চলে। লখনৌ পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রচুর সংখ্যায় এ ধরণের দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিছু লোক জিজ্ঞাসাবাদ এবং পদক্ষেপের ভয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন অবৈধ কসাইখানার বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। রাজ্য সরকারের মুখপাত্র সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেছেন, যাদের লাইসেন্স আছে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, যেকোনো কসাইখানা বন্ধ করে দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। এমনকী মোষের গোশতের দোকানেও হামলা চালাচ্ছে বিজেপি-আরএসএস বাহিনী। একের পর এক পদক্ষেপে সেখানকার বিখ্যাত হোটেলগুলোতে গবাদিপশুর গোশতের কোনো পদ পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে, কসাইখানা বন্ধ হওয়ায় এর সঙ্গে যুক্ত লাখো মানুষের রুটিরুজির সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। কাজ হারিয়ে তাদের এখন কী উপায় হবে সেই বিষয়ে কোনো দিশানির্দেশ  নেই রাজ্য সরকারের। যদিও প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী মোদি থেকে যোগী সকলেই মুখে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ (সকলের সঙ্গে সবার উন্নয়ন)-এর বুলি আওড়ে যাচ্ছেন।

 উত্তর প্রদেশে কসাইখনা বন্ধের প্রতিবাদে আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছেন গোশত ব্যবসায়ীরা। তাদের সঙ্গে মাছ ব্যবসায়ীরাও শামিল হয়েছেন। দু’দিন আগে থেকে অঘোষিতভাবে ধর্মঘট শুরু হলেও আজ (সোমবার) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।

লখনৌয়ের মিট মুর্গা ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সভাপতি চৌধুরী ইকবাল কুরেশি বলেন, ২৫ মার্চ থেকে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হলেও কিছু লোকের কাছে পুরনো গোশত ও মাছ মজুদ থাকায় সেগুলো বিক্রি করার পর সোমবার থেকে ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।

বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি তাদের ঘোষণাপত্রে অবৈধ কসাইখানা বন্ধ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিজেপি’র ফায়ারব্রান্ড নেতা যোগী আদিত্যনাথ সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পর থেকে কসাইখানা বন্ধ হওয়া শুরু হয়েছে।

গোশত ব্যবসায়ী সমিতির নেতা ইকবাল কুরেশি বলেন, লক্ষনৌতে মোট লাইসেন্সের সংখ্যা ৬০৩। এরমধ্যে ৩৪০ টির লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে। অন্যগুলো নবায়ন করা হয়নি। এসবের পাশাপাশি বিনা লাইসেন্সেও অনেক দোকান চলে। লখনৌ পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রচুর সংখ্যায় এ ধরণের দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিছু লোক জিজ্ঞাসাবাদ এবং পদক্ষেপের ভয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন অবৈধ কসাইখানার বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ নেয়া হবে। রাজ্য সরকারের মুখপাত্র সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেছেন, যাদের লাইসেন্স আছে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, যেকোনো কসাইখানা বন্ধ করে দিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। এমনকী মোষের গোশতের দোকানেও হামলা চালাচ্ছে বিজেপি-আরএসএস বাহিনী। একের পর এক পদক্ষেপে সেখানকার বিখ্যাত হোটেলগুলোতে গবাদিপশুর গোশতের কোনো পদ পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে, কসাইখানা বন্ধ হওয়ায় এর সঙ্গে যুক্ত লাখো মানুষের রুটিরুজির সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। কাজ হারিয়ে তাদের এখন কী উপায় হবে সেই বিষয়ে কোনো দিশানির্দেশ  নেই রাজ্য সরকারের। যদিও প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রী মোদি থেকে যোগী সকলেই মুখে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ (সকলের সঙ্গে সবার উন্নয়ন)-এর বুলি আওড়ে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে, গতকাল (রোববার) মুজাফফরনগরে খাটাউলির বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সৈনি গরু জবাইকারীদের হাত-পা ভেঙে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। মন্ত্রী সুরেশ রানার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা ‘বন্দে মাতরম’ বলতে অনিচ্ছুক,  ‘ভারতমাতার জয়’ বলতে যাদের কষ্ট হয়, যারা গরুকে ‘মা’ বলে মানে না এবং তাদের হত্যা করে, তাদের হাত-পা ভেঙে দেব।’

ওই অনুষ্ঠানে তিনি গো-রক্ষার জন্য তিনি যুবকদের নিয়ে একটি বাহিনী গঠন করেছেন বলে জানান। তার দাবি, এই বাহিনী দেশের জন্যও কাজ করবে। চীন বা পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করলে এই বাহিনীর সদস্যরা সীমান্তে গিয়ে বিনা পারশ্রমিকে লড়াই করবেন বলেও ঘোষণা দেন।

২০১৩ সালে মুজাফফরনগর দাঙ্গায় অন্যতম অভিযুক্ত বিক্রম সৈনি বিজেপি’র বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। মুজাফফরনগর দাঙ্গায় আরেক অভিযুক্ত সুরেশ রানা রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন।

সূত্র: পার্সটুডে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ