ওবায়দুল্লাহ সাদ: কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার এক মক্তবে পবিত্র কুরআনের চরম অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। রাতের আঁধারে দুষ্কৃতিকারীরা কুরআনের ওপর নাপাক বস্তু রেখে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফুসছে সেখানকার ধর্মপ্রাণ জনতা। অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ মার্চ) দাউদকান্দির ১নং সুন্দুলপুর মডেল ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম ফরিদুন্নেছা মাইজভান্ডারী ফোরকানিয়া মক্তবের ভেতর কুরআন অবমাননার ঘটনা ঘটে। মক্তবটির পাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি হিন্দু বাড়ি। জনতার ধারণা তাদেরই কাজ হতে পারে এটি।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ওই মক্তবে ঢুকে পবিএ কুরআনের কপিগুলো সারিবদ্ধভাবে বিছিয়ে উপরে নাপাকি রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। সকালে মক্তবে এসে এলাকার মানুষ সেটা দেখার পর উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারের জন্য তারা থানায় অভিযোগ জানায়।
তবে পুলিশ বা এলাকার জনগণ বুধবার বিকাল পর্যন্ত কোন অপরাধী সনাক্ত করতে পারেনি।
এ বিষয়ে দাউদকান্দি থানার ওসি মিজানুর হমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আওয়ার ইসলামকে জানান, এরকম একটি তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে, আমরা তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।
ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, আমরা তদন্ত না করে কিছুই বলতে পারব না।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারি পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল), দাউদকান্দি উপজেলা চেয়ারম্যান, দাউদকান্দি নির্বাহী অফিসার, অফিসার ইনচার্জসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন।
কুমিল্লা পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন জানিয়েছেন, ঘটনা যে বা যারাই ঘটিয়ে থাকুক তাদের খুজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
মক্তবের শিক্ষক স্থানীয় মসজিদের ইমাম জয়নাল আবেদিন জানান, সকালে বাচ্চারা মক্তবে পড়তে এসে এ ঘটনা দেখতে পেয়ে আমাকে জানায়। আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখি ১৬ টি নতুন কোরআন শরীফ খুলে তার উপর মলত্যাগ করে কাপড়ে গিলাপ দিয়ে প্রায় প্রতি পৃষ্ঠায় মল লাগিয়ে রেখেছে।
আরএফ