বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

miraj3বাংলাদেশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের টেকসই উন্নয়নে ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স ও শরী‘আহ ব্যাংকিং ব্যবস্থা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারি, ঢাকাস্থ ডেইলি স্টার ভবনের এএস মাহমুদ মিলনায়তনে “এক্সপ্যান্ডিং ফিনান্সিয়াল ইনক্লুশান ইন বাংলাদেশ থ্রু ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স: রোল অব ইসলামিক ব্যাংকস, এনজিও এন্ড মাইক্রোফাইন্যান্স ইনস্টিটিউটস” (Expanding Financial Inclusion in Bangladesh through Islamic Microfinance: Role of Islamic Banks and NGOs/ MFIs) শীর্ষক এক জাতীয় সেমিনারে বক্তাগণ এসব কথা বলেন।

যুক্তরাজ্যভিক্তিক আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ ও সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল শরীয়াহ বোর্ড-এর নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এম আযীযুল হক।

স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ বোর্ডের সেক্রেটারি জেনারেল একিউএম ছফিউল্লাহ আরিফ ও ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শাবেল ফিরুজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান রূমি এ হোসেন এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মু. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ।

সেমিনারে বাংলাদেশে ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স-এর ক্ষেত্র সম্প্রসারণ, বেসরকারি ব্যাংকিং খাতকে উৎসাহ প্রদান এবং স্থানীয় এনজিও এবং মাইক্রোফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানসমূহের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক একটি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম। ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স ওয়ার্কিং গ্রুপের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক এনামুল হক সরকার।

শাবেল ফিরুজ বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিং ও ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচির সম্প্রসারণে একটি নীতিমালা প্রণয়ন সময়ের দাবী। তিনি আরো বলেন, ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্সের কার্যক্রম যত সম্প্রসারণ হবে, দারিদ্র্যের হার তত কমবে। তিনি বলেন, ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স ন্যায্য এবং সামাজিক ন্যায়সঙ্গত। এটি সম্প্রসারণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার অনস্বীকার্য।

একিউএম ছফিউল্লাহ আরিফ বলেন, ইসলাম উৎপাদনমুখী শিল্প স্থাপন ও নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিকে উৎসাহিত করে এবং সাধারণ মানুষের চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিয়ে সকল এলাকার সুষম উন্নয়নে সমবেত অংশগ্রহণ ইসলামের নীতি ও কৌশলের অংশ। এ ক্ষত্রে ব্যাংকগুলো এগিয়ে আসতে পারে। তিনি আরো বলেন, সুদের বেষ্টনী থেকে বের হতে না পারলে ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

রূমি এ হোসেন বলেন, মাইক্রোফাইন্যান্স ছাড়া ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশন সম্ভব নয়। তাই দান দিয়ে নয়, মাইক্রোফাইন্যান্স পদ্ধতির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণে এগিয়ে আসতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকেও যত দ্রুত এই কার্যক্রমের আওতায় আনা যাবে তত দ্রুত দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব হবে।

এম. আযীযুল হক বলেন, পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, ইসলামিক ব্যাংকিং ছাড়া সবার জন্য ইনক্লুসিভ এবং দরিদ্রবান্ধব ব্যাংকিং সম্ভব নয়। তিনি সুদবিহীন ফাইন্যান্স ব্যবস্থা চালুর উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারে আলোচকগণ ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স এবং ব্যাংকিং নীতিমালা বিষয়ক কতিপয় পরামর্শ, ভবিষ্যত কর্মপন্থা, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য গতানুগতিক ক্ষুদ্র ঋণের পাশাপাশি ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্সের পরিধি সম্প্রাসারণ এবং ইসলামিক ব্যাংকিং ও মাইক্রোফাইন্যান্স সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু সুপারিশ প্রণয়ন করেন।

সেমিনারে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি সংস্থা এবং মাইক্রোফাইন্যান্স কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ১০০জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ