শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


চীনে শুকরের খাঁচায় মাকে বন্দি করল ছেলে!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

maআওয়ার ইসলাম: মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। সবার চেয়ে আপন। মায়ের সেবায়ই সন্তানের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়। তার পদতলেই বেহেশত। এসব উপেক্ষা করে বৃদ্ধা মাকে রাখা হয়েছে শুকরের খাঁচায়। এমন এক বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছে চীনে।

জানা যায়, চীনে অত্যন্ত ক্ষীণ শরীরের একজন বৃদ্ধাকে শুকরের খোঁয়াড়ের ভেতর বন্দী করে রাখার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলেছে।

দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংজি প্রদেশে ৯২ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধাকে তার নিজেরে ছেলে এবং ছেলে-বউ এভাবে বন্দী করে রাখে।খবর বিবিসির।

বছরের পর বছর ধরে তাকে এভাবে বন্দী থাকতে হয় বলে জানা গেছে। সাউদার্ন মর্নিং পোস্ট পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, ইয়াং নামে ওই নারীকে ১০ বর্গমিটার সেলের ভেতর কাঠের বেঞ্চিতে ঘুমাতে দেয়া হয়েছে।

তবে তিনি নিজের ইচ্ছাতেই সেখানে ছিলেন কি-না তাও খতিয়ে দেখবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশটির একটি অংশের মধ্যে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের প্রতি অবহেলার বিষয়টি নিয়ে অনলাইন মাধ্যমগুলোতে বেশ সমালোচনা স্থান পাচ্ছে।

ইয়াং নামের বৃদ্ধের ঘটনাটিও হয়তো অজনাই থেকে যেত যদি না প্রিটি নান গুলান নামে স্থানীয় একজন নারী একটি ভিডিও পোস্ট করতেন। মিয়াওপাই নামে জনপ্রিয় ভিডিও সার্ভিসে খাঁচার ভেতর বসে থাকা নব্বই বছরোর্ধ বৃদ্ধার ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি।

গত ৬ জানুয়ারি সেটি আপলোডের পর থেকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত আঠারো লাখের বেশিবার ভিডিওটি দেখা হয়েছে।

দশ হাজারের বেশি অনলাইন ব্যবহারকারী হ্যাশট্যাগ দিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন যেখানে বৃদ্ধের ছেলে এবং ছেলে-বউকে 'পশু' বলে অভিহিত করা হয়।

এরপর বৃদ্ধার স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় তার হাড্ডি-সর্বস্ব শরীরের ছবি মর্নিং পোস্ট পত্রিকায় ছাপা হলে তা আরও বিক্ষুব্ধ করে তোলে অনেককে।

তবে চীনের সমাজে এই ধরনের ঘটনা একেবারে নতুন নয়। সেখানে বৃদ্ধ বাবা-মায়ের প্রতি প্রায়ই সন্তানদের এমন অবেহলার ঘটনার খবর পাওয়া যায়। ২০১৪ সালে হেনান প্রদেশে নব্বর বছর-বয়সী এক বৃদ্ধ এমন অবস্থার শিকার হয়েই প্রাণ হারিয়েছিলেন।

নভেম্বর মাসেই ষাটোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে রাস্তায় আবর্জনার ভেতর থেকে খাবার উঠিয়ে খেতে দেখা যায় এমন একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি করে। তার মধ্যবয়সী মেয়ের কাছে বোঝা হয়ে উঠেছিলেন ওই বৃদ্ধ বাবা, খবরে এমনটাই উঠে আসে।

ডিএস


সম্পর্কিত খবর