মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫


বিশ্বের সব মসজিদে বিক্ষোভের ডাক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

[caption id="attachment_24103" align="alignleft" width="500"]jerujalem ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাস ভবন [/caption]

ইসরাইলী দখলদারিত্ব থেকে মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র শহর জেরুজালেমের রক্ষার জন্য আগামী শুক্রবার বিশ্বের সব মসজিদে এবং শনিবার সব গীর্জায় বিক্ষোভ পালনের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিন সরকার।

জেরুজালেমের ওপর ইসরাইলি দখলদারির স্বীকৃতি দিতে তেল আবিব থেকে সেখানে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে বিক্ষোভ ডাকল ফিলিস্তিন।

মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের সিনিয়র কর্মকর্তারা এ বিক্ষোভের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে জেরুজালেমে দূতাবাস সরিয়ে আনার মার্কিন পরিকল্পনার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।

ফিলিস্তিনী কর্মকর্তারা বলেন, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমে দূতাবাস সরিয়ে আনার যে পরিকল্পনা করছেন তা অসলো শান্তি চুক্তির লঙ্ঘন।

ট্রাম্প যদি এই পরিকল্পনা বাতিল না করেন তাহলে ফিলিস্তিনী মুক্তি সংস্থা (পিএলও) দখলদার ইসরাইলকে দেয়া স্বীকৃতিও প্রত্যাহার করে নেবে।

সম্প্রতি ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে আনার পরিকল্পনা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে একটি চিঠি লেখেন।

ট্রাম্পকে থামাতে করণীয় সবকিছু করতে চীন, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সোমবার পৃথক চিঠি পাঠান ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট।

ফিলিস্তিনী কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এদিন দেয়া ভাষণে তিনি জেরুজালেমে দূতাবাস প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে পারেন।

এই আশংকাকে সামনে রেখে ফিলিস্তিনের সিনিয়র মধ্যস্থতাকারী মোহামদ শায়েহ সাংবাদিকদের বলেন, জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস সরানোর যেকোনো পদক্ষেপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেবে।

তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমরা যেসব পাল্টা পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছি তার অন্যতম হলো ইসরাইল এবং পিএলওর মধ্যকার পরষ্পরকে স্বীকৃতি দেয়ার চুক্তি আর কার্যকর থাকবে না।

উল্লেখ্য, মুসলিম দেশ ফিলিস্তিনের আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে ১৯৪৮ সালে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল ঘোষণা করা হয়। মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্র শহর জেরুজালেমকে এর রাজধানী করারও পরিকল্পনা করে দখলদার ইহুদিবাদীরা।

১৯৬৭ সালের ছয়দিনের জেরুজালেমের পূর্বাঞ্চল নিজেদের দখলদারিত্ব সম্প্রসারণ করে ইসরাইল। তবে এই দখলদারি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে স্বীকৃতি পায়নি।

ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ জাতিসংঘের অধিকাংশ সদস্য দেশ জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানীর পরিবর্তে বিরোধপূর্ণ শহর হিসেবে বিবেচনা করবে।

তবে জেরুজালেমের স্বীকৃতি পেতে বিশ্বজুড়ে কয়েক দশক ধরেই লবিং করে বেড়াচ্ছে ইহুদিবাদী গোষ্ঠী। যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদিবাদী লবি প্রভাবশালী হলেও দেশটি ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্রের সমথর্ক হওয়ায় ইসরাইলের চেষ্টা এতদিন সফল হয়নি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণাকালে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী করার বিষয়কে সমর্থনের কথা জানান রিপাবলিকান দলীয় প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি একাধিকবার বলেন, তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরও ট্রাম্প নিজের পরিকল্পনায় অটল রয়েছেন। যার ধারাবাহিকতায় গত মাসে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরের ব্যাপারে অঙ্গীকারকারী কট্টর ডানপন্থী আইনজীবী ডেভিড ফ্রাইডম্যানকে গত মাসে ইসরাইলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

-যুগান্তর থেকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ