শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

পশ্চিমা পোশাকের কারণেই নারী লাঞ্ছিত:ভারতীয় মন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

nari-lanchitoআওয়ার ইসলাম: ভারতের  ব্যাঙ্গালোরে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের সময় কথিত যৌন হয়রানির জন্যে নারীদের পাশ্চাত্যের পোশাক অনুসরণকে  দায়ী করেছেন ভারতের এক মন্ত্রী।খবর বিবিসির।

স্থানীয় সংবাদপত্রে 'লাঞ্ছিত' নারীদের কিছু ছবি প্রকাশ হওয়ার পর কর্নাটক রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরামেশ্বরা পার্টিতে আসা তরুণীদের দায়ী করে বলেছেন, "তারা শুধু তাদের মননেই পশ্চিমাদের অনুকরণ করেনি, পোশাক আশাকেও তাদেরকে অনুকরণ করেছে।"

"তাহলে তো এধরনের ঘটনা ঘটবেই," ।

মন্ত্রীর এই মন্তব্য ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

দক্ষিণ ভারতের এই মন্ত্রী বলেছেন, মেয়েরা 'পশ্চিমাদের মতো' পোশাক পরার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার নববর্ষের প্রথম প্রহরে আনন্দ করতে আসা নারীরা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে স্থানীয় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে।

ব্যাঙ্গালোরের একটি খবরের কাগজে ক্রন্দনরত কয়েকজন নারীর ছবিও ছাপা হয়েছে যারা অভিযোগ করেছেন, ভিড়ের মধ্যে পুরুষরা তাদের গায়ে হাত দিয়েছে।

পুলিশ বলছে, তারা এধরনের কোন অভিযোগ পায় নি। তবে এধরনের ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটা তারা ভিডিও ফুটেজে স্ক্যান করে দেখছেন।

 

ভারতে নারীর অধিকার রক্ষায় গঠিত ন্যাশনাল কমিশন ফর উইমেনের প্রধান লালিথা কুমারামানাগালাম বলেছেন, এ ধরনের মন্তব্যের জন্যে দেশের নারীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে তার পদত্যাগ করা উচিত।

কেন্দ্রীয় সরকারের একজন মন্ত্রী কিরেন রিজিজু কর্নাটকের মন্ত্রীর এই মন্তব্যকে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে উল্লেখ করেছেন।

এক টুইট বার্তায় তিনি বলেছেন, "এধরনের লজ্জাজনক ঘটনায় কারো শাস্তি হবে না - এরকম হতে পারে না।"

বিবিসির হিন্দি বিভাগের একজন সাংবাদিক বলেছেন, নববর্ষ উদযাপন করতে শহরের কেন্দ্রে মহাত্মা গান্ধী এবং ব্রিগেড রোড এলাকায় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজারের মতো লোক জড়ো হয়েছিলো।

বলা হচ্ছে, এসময় সেখানে দেড় হাজারের মতো পুলিশ মোতায়েন ছিলো।

ব্যাঙ্গালোরের একজন ফটোসাংবাদিক অনন্ত সুব্রাম্যানিয়াম বিবিসি হিন্দিকে জানিয়েছেন, এই এলাকায় সাধারণত যতো মানুষ আসে তার চেয়ে তিনগুণ বেশি লোক হয়েছিলো।

তার তোলা ছবিই নারীদের ব্যাপারে শহরের পুরুষের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

তিনি বলেন, লোকজন পৌনে বারোটা থেকে রাত সাড়ে বারোটা পর্যন্ত সেখানে চলাচল করতে পারছিলো না।

"ভিড় যখন কিছুটা কমে এলো আমি দেখলাম কয়েকজন নারী পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করছেন যে তারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। পুলিশ তখন তাদেরকে বলে ওই পুরুষদেরকে দেখিয়ে দিতে। কিন্তু তারা সেটা পারেনি।"

"আমি দেখেছি একজন নারীকে কয়েকজন পুরুষ ঘিরে রেখেছে আর তিনি কাঁদছেন," বলেন তিনি।

চৈতালি ওয়াসনিক নামের একজন ফটোগ্রাফার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেছেন যাতে দেখা যাচ্ছে কাজ থেকে ফেরার পথে একজন পুরুষ তার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি জানান, তাকে বাঁচাতে পুলিশ এগিয়ে আসেনি। ওই পুরুষটিকে তিনি নিজেই মোকাবেলা করেছেন।

ওই রাতে সেখানে ছিলেন এরকম আরো একজন নারী জানিয়েছেন, "২০ থেকে ৩০ জন পুরুষের একটি দল হঠাৎ দৌড়াদৌড়ি শুরু করতে শুরু করে এবং এসময় কয়েকজন নারীর শরীরে হাত দেওয়া হয়েছে।"

"আমি আমার বাবা মা আর বাই বোনের সাথে থাকায় বেঁচে গেছি। কয়েকজন পুলিশ আমাদের পাহারা দিয়ে কাছের মেট্রো স্টেশনে তুলে দিয়ে যান।"

ব্যাঙ্গালোরের পুলিশ কমিশনার প্রাভীন সুদ বিবিসিকে বলেছেন, ওই এলাকার ভিডিও ফুটেজ এখন পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।

"ফুটেজে আর ছবিতে আমরা যৌন নিগ্রহের তথ্যপ্রমাণ খুঁজছি। প্রমাণ পেলে আমরা কোন সময় নষ্ট করবো না," বলেন তিনি।

এধরনের কোন তথ্য প্রমাণ থাকলে সেগুলো পুলিশের কাছে দেওয়ার জন্যেও তিনি সাংবাদিক ও লোকজনের কাছে আহবান জানিয়েছেন।

ডিএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ