শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আনতে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি অপরিহার্য: আমেরিকা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

jan_cary_filistinআওয়ার ইসলাম: অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ বসতি নির্মাণ বন্ধ এবং  ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির মধ্য দিয়েই কেবল মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি আসতে পারে; মন্তব্য করেছেন ওবামা প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিবেকের দায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ফ্রান্সের প্যারিসে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি সম্মেলন-এ দেওয়া ৭০ মিনিটের ওই ভাষণে এসব কথা বলেন কেরি। ওই সম্মেলনে ৭০টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন।

কেরি বলেন, ‘ইসরায়েল যদি অধিকৃত ভূখণ্ডে তার বসতি নির্মাণ বন্ধ করে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানে উদ্যোগী না হয়, তাহলে তারা আরব বিশ্বের সঙ্গে কখনও প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।’

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েল ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্রের একটা বড় অংশ দখল করে নেয়। পরে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। আর দখলীকৃত ভূখণ্ডে ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত ওই সীমানার বাইরের বাদবাকি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এই সমাধান প্রকল্পকেই দ্বি-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান বলা হয়ে থাকে। তবে আজও তা আলোর মুখ দেখেনি।

দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিপরীতে ইসরায়েলি বসতি নির্মাণকে ‘হুমকি’ বলে উল্লেখ করে কেরি বলেন, ‘বছরের পর বছর আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে। আমরা জনসমক্ষে এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে বহুবার ইসরায়েলকে বসতি নির্মাণ বন্ধ করতে বলেছি।’ কেরি জানান, ‘যখন আমরা দেখছি শান্তির প্রত্যাশা ক্রমেই দূরে সরে যাচ্ছে, তখন আমরা নিজেদের বিবেক এড়িয়ে চুপ করে বসে থাকতে পারি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমরা দেখছি ইসরায়েলের সেটেলার বসতি নির্মাণের ফলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানটাই ভেস্তে যেতে চলেছে, তখন আমরা বসে থাকতে পারি না। এর ফলে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে যে ঘৃণা ও সহিংসতা গড়ে উঠছে, তা দেখেও আমরা অন্ধ সেজে থাকতে পারি না।’ কেরি তার দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের রূপরেখায় জেরুজালেমকে ‘দুই রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত রাজধানী’ ঘোষণার একটি প্রস্তাবনাও দিয়েছেন।

ইসরায়েলের নতুন সীমান্ত টানার প্রশ্নটির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে পরবর্তী শান্তি চুক্তিতে দুই রাষ্ট্রের নিরাপদ ও স্বীকৃত সীমান্তের বিষয়টি উল্লেখ করা থাকতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি শরণার্থীদের পুনর্বাসনের বিষয়েই একটি সমাধানে আসতে হবে।

ভাষণে কেরি অভিযোগ করেন, ‘ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বসতি স্থাপনকারীদের এজেন্ডার ভিত্তিতে ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চাইছেন।’

১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী বর্তমানে পূর্ব জেরুজালেম, গাজা ও পশ্চিম তীরের অধিকৃত ভূখণ্ডে ইসরায়েলের অন্তত ১৯৭টি সেটেলার বসতি রয়েছে, যেখানে বাস করছেন প্রায় ৬ লাখ ইসরায়েলি। ওইসব স্থান থেকে প্রায় ২৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করা হয়।

এআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ