শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


বুধবার শুরু চট্টগ্রাম ইজতেমা; ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

এম ওমর ফারুক আজাদ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

chitagan

আগামীকাল বাদ মাগরিব থেকে শুরু হবে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ইজতেমা। ২৯,৩০,৩১ডিসেম্বর থেকে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও আগামীকাল বাদ মাগরিব আঞ্চলিক মুরুব্বীদের উদ্বোধনি বয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়ে শনিবার সকাল এগারোটায় বিশ্বের সকল মুসলমানের কল্যাণ ও হেদায়াত কামনা করে শেষ হবে।

চট্টগ্রামে এই প্রথম অনুষ্টিত হচ্ছে ইজতেমা তাই এই মহা মিলনমেলাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের স্থানীয় মানুষদের মাঝে কাজ করছে উৎসাহ উদ্দীপনার। বাড়ির কাছে ইজতেমা হওয়ায় মুরুব্বীদের কৃতজ্ঞতা ও আল্লাহর শুকর জ্ঞাপন করছে স্থানীয় মুসল্লিরা। দীর্ঘ এক মাস সেচ্ছাশ্রমে প্রস্তুত ইজতেমা মাঠ। মাঠের কাজ আঞ্জাম দিতে প্রতিদিন সেচ্ছাশ্রম দিয়েছেন স্থানীয় জনগণ, মাদরাসা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবিসহ সরকারি কর্মকর্তারাও।

দীনের কাজে অনুপম এই সেচ্ছাশ্রম দেখে অবিভুত হয়ে অনেক মুসলমান মতাদর্শগত বিরোধ ভুলে গিয়ে পেয়েছেন সত্যের দিশা।

৪০ লক্ষ স্কয়ার ফিট বিশাল সামিয়ানা প্রস্তুতের আগে মাত্র তিনদিনে নির্মিত হয়েছে মদিনা মসজিদ। যার আয়তন ২৩৪০০বর্গ ফিট। এতে প্রায় দশ হাজার মুসল্লি জামাত আদায় করতে পারে।

ময়দানের ৭২০ নং খিত্তার (চট্টগ্রাম-হাটহাজারী এলাকা) জিম্মাদার ফুরকান সিকদার থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে প্রায় দুই কিলোমিটার শামিয়ানায় ১৫ থেকে ২৬ লক্ষ মুসল্লির সমাগম হবে। বিশাল সংখ্যক মুসল্লিদের জন্য ময়দানে নির্মাণ করা হয়েছে ২৫০০শৌচাঘার, খনন করা হয়েছে ১৫টি পুকুর ও ১২টি হাউজ।

[caption id="" align="alignnone" width="827"] আনিস খালের ঘাটলা নির্মাণ পরিদর্শন করছেন হাটহাজারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাসির উদ্দীন মুনীর [/caption]

বিশাল এউ ইজতেমার নিরাপত্তা নির্বিঘ্ন করতে হাটহাজারী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা নাসির উদ্দীন মুনীর এর সমন্বয়ে করা হয়েছে নিরাপত্তা কমিটি। নিরাপত্তা কমিটির উদ্দোগে সরকারীভাবে ২০হাজার পুলিশ সহ চার স্তরের নিরাপত্তার বেস্টনিতে সাজানো হবে ময়দান।

এছাড়া যানজট নিরসনে হাটহাজারী উপজেলা প্রসাশন চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক থেকে ইজতেমা ময়দানে তিনটি পার্কিং রোড় বের করেছে। এছাড়া উপজেলা থেকে সেনিটেশন, বিদ্যুৎ, চিকিৎসা সেবাসহ পানির সুবিধার্থে ৫টি ঝর্ণা করে দিয়েছে। পানিমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুর রহমান মুসল্লিদের স্নানের সুবিধার জন্য ময়দানের দক্ষিণ পাশের আনিস খালিকে উন্মুক্ত করে ঘাটলা বেধে দিয়েছেন।

জানা যায় আগামীকাল সকালে ময়দানে পৌঁছে যাবে আনসার সাথীদের কাফেলা আর বাদ মাগরিব থেকে জড়ো হবেন বিভিন্ন থানা ও উপজেলার কাফেলা।

উল্লেখ্য, ময়দানের অবস্থান হাটহাজারীস্থ মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া এলাকায় রাস্তার পুর্ব পাশের বিশাল বিলে। যা হাটহাজারী মাদরাসা থেকে এক কিলোমিটার উত্তর দিকে অবস্থিত।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ