মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ
শিক্ষার্থী, দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত
মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমে আমরা অবস্থান করতে যাচ্ছি খ্রিস্টবর্ষের আরেকটি নতুন বছরে। মানবসভ্যতার আদিলগ্ন থেকেই মানবের স্বভাবজাত একটি প্রক্রিয়া হচ্ছে কোনো জিনিস থেকে কাউকে বাঁধা দেয়া হলে সেটার প্রতি প্রবল আগ্রহী হয়ে ওঠা। এ কারণেই হয়তো বা আরবি প্রবা— ‘আল ইনসানু হারিসুন ফি-মা মুনিয়া।’ স্বভাবতই তার দুর্বলতাও সেদিকটার প্রতি বেশ পরিলক্ষিত হয়।
সভ্যতা আর সুস্থ সংস্কৃতির প্রসঙ্গক্রমেই বলা যায়, বছরের শুরু এবং শেষভাগটুকু বাঙালিদের যেভাবে কাটে, বছরের অন্যান্য দিন কিন্তু সেভাবে কাটে না বা উদযাপিত হয় না। বাঙালি সংস্কৃতি আজ হারিয়ে যেতে বসেছে প্রতিটি ক্ষেত্র থেকে। ব্যাপকহারে পশ্চিমা সভ্যতার ভূত চেপে বসেছে আমাদের ঘাড়ে।
আধুনিকতার উৎকর্ষের দোহাই দিয়ে আজ আমরা হারাতে বসেছি নিজেদের শেকড়। ‘সেকেল’ আখ্যা দিয়ে নিজেরাই নিজেদের ঐতিহ্য আর গৌরবগাঁথা বাঙালিপনার ইতিহাস ধিকৃত করছি দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে। অথচ শুধু বাঙালি হিসেবেই নয়, শতকরা পঁচানব্বই ভাগ মুসলমানের রাষ্ট্র হিসেবে কীভাবেই বা আমরা ইসলামের মৌলিক ও আনুষঙ্গিক বিষয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ভূমিকা পালন করে থাকি?