আওয়ার ইসলাম: খ্যাতিমান কারী, চকবাজার শাহী মসজিদের সাবেক খতীব মুহাম্মদ উবায়দুল্লাহ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সূত্র মতে তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কামরাঙ্গির চড়ের বাসায় ইন্তেকাল করেন। তিনি ২ ছেলে, ৬ মেয়ে, স্ত্রী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় ঈদগাহে তার নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা গ্রামে জন্ম এই মণীষীর। জামিআ কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদরাসায় থেকে ১৯৬২ সালে দাওরায়ে হাদিস শেষ করেন। শিক্ষা সমাপনী শেষে লালবাগ মাদরাসায় শিক্ষকতা দিয়ে জীবন শুরু করেন। আর এ বছরেই রেডিওতে প্রথম মধুর সুরের ঝংকার তোলেন। তার খ্যাতি ছড়াতে থাকে সর্বত্র।
স্বাধীনতা পরবর্তী ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ বেতারে কুরআনের প্রথম যে সুর বেজে উঠেছিলো তাও এই মণীষীর কণ্ঠেই। পার্লামেন্টের শুরুর অধিবেশন থেকে নবম পার্লামেন্ট পর্যন্ত জাতীয় সংসদকেও কুরআনের তিলাওয়াতে বিমোহিত করে রেখেছিলেন তিনি। এদেশে তার অবদান এমনই যে তা ভোলার নয়।
২০০০ সালে কারী উবায়দুল্লাহ প্রথম হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থও হয়ে উঠেন। তারপর ২০০৬ সালে ঢাকার বাইরে এক মাহফিলে যাওয়ার পথে ব্রেন স্ট্রোকের শিকার হন। এ সময় চলাফেরার শক্তি হারিয়ে ফেলেন। পরে কোলকাতায় চিকিৎসা দেওয়া হলে কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠেন।
২০০৮ সাল থেকে পরপর তিনবার ব্রেনস্ট্রোকের শিকার হন। ২০১২ তে সর্বশেষ ব্রেনস্ট্রোকের শিকার হয়ে রাজধানীর কামরাঙ্গীর চড়ের বাসায় অসুস্থ অবস্থায় বিছানাতেই ছিলেন মৃত্যু পর্যন্ত।
আরআর