শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


ঈমানদার জনতা প্রয়োজনে নাফ নদী সাতার কেটে আরাকান যাবে: পীর সাহেব চরমোনাই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

৯ ডিসেম্বর জেলায় জেলায় বিক্ষোভ
১৬ ডিসেম্বর দেশব্যাপী দোয়া ও কুনুতে নাজেলা
১৮ ডিসেম্বর মিয়ানমার অভিমুখে লংমার্চ

isha5

আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমারের সাথে যা করার প্রয়োজন তাই করতে হবে। অর্থনৈতিক অবরোধ সৃষ্টি করতে মিয়ানমারের সকল পণ্য বর্জন করতে হবে।

তিনি বলেন, সরকার রাখাইন রাজ্যে গণহত্যার মাধ্যমে মুসলিম শূন্য করার অপরিণামদর্শী খেলায় মেতে উঠেছে। গণহত্যার মাধ্যমে বর্মী জান্তারা এবং অং সান সুচি বিশ্বসন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ইতিহাসের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ ও নির্মমতা এবং বিশ্বব্যাপী মানবতা ভুলুন্ঠিত হলেও জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ ব্যাপারে কোন কার্যকরি ভূমিকা রাখতে পারছে না। জাতিসংঘের এই অমানবিক আচরণে মুসলিম জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার অনিবার্যতা আরো জোরালো হচ্ছে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মিয়ানমারে গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, শিশু হত্যা, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ ও আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনা বন্ধ না করলে আগামী ১৮ ডিসেম্বর মিয়ানমার অভিমূখে লংমার্চ করে প্রয়োজনে নাফ নদী সাতার কেটে আমরা মিয়ানমারের মুসলমানের পাশে দাঁড়াবো। কোন অজুহাতেই তাদের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত করা যাবে না। তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। নাগরিক সুবিধাসহ পুনর্বসান করতে হবে। মুসলিম হত্যাকারী মিয়ানমারের সামরিক জান্তাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মিয়ানমার জান্তারা যতই বলুক মুসলমানরা সেদেশের নাগরিক নয়। এটা তাদের মিথ্যা প্রচারণা।

তিনি বলেন, এককালের স্বাধীন-সার্বভৌম ২০ হাজার বর্গমাইল এলাকা বিশিষ্ট আরাকান প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বসবাস বেশি। তাদের পূর্ব পুরুষরা হচ্ছে আরব, তা¤ু^কিয়াস, তুর্কী, ইরানী, পাঠান, কামানচিস, মোঘল, বাঙ্গালী এবং ইন্দো-মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভুৎ কিছু জনগোষ্ঠী। তারা ৬ষ্ঠ শতাব্দি থেকে আরাকানসহ মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতে থাকে। ২,৬১,৯৭০বর্গমাইল এলাকা বিশিষ্ট মিয়ানমারের লোকসংখ্যা ৫২ মিলিয়ন। মুসলমানরা মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার এক ষষ্টমাংশ। মুসলমানদের সংখ্যা ৭-১০ মিলিয়ন। মিয়ানমারে মুসলিম, স্যান, চিন, কারেন, রাখাইন ও বারমনসহ ১৪০টি জাতিগত গোষ্ঠী রয়েছে। তবে মিয়ানমারে মুসলমানরা দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় জনগোষ্ঠী। ৬ষ্ঠ শতাব্দি থেকে মুসলিম জনগণ মিয়ানমারের শহর-বন্দর-গ্রামে বসবাস করে আসছেন। কাজেই মুসলমানরা মিয়ানমারের বাসিন্দা নয় একথা বলার কোন সুযোগ নেই।

isha6

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইটে মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধ, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান ও পুনর্বাসন দাবি এবং মিয়ানমার সামরিক জান্তার বিচারের দাবিতে ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাস অভিমুখে বিক্ষোভ ও স্মারকরিপি পেশ কর্মসূচি পূর্ব জমায়েতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

পূর্ব নির্ধারিত জমায়েতের স্থান জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে হওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ সেখানে জমায়েত হতে দেয়নি নেতাকর্মীদের। জমায়েতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব-অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আবদুল কাদের ও আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ঢাকা উত্তর অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী, প্রিন্সিপাল মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম আলআমিন, শ্রমিকনেতা ঈমান উদ্দিন, শিক্ষক নেতা মাওলানা এবিএম জাকারিয়া প্রমুখ।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ