শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


মেন্ডাটা হাসপাতালে কেমন আছেন মাওলানা ওলীপুরী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ ও সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমে দ্বীন, খতিবে জামান, তরজুমানে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলীপুরী (হাফিযাহুল্লাহু) দীর্ঘ দিন থেকেই নানা রকম অসুস্থতায় ভুগছেন৷ ঢাকার এ্যাপোলো ও পিজি   হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ মাস৷ সেখানে খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা৷ অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত ৭ নভেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য হজরতকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ভর্তি করা হয় দিল্লির অদূরে হরিয়ানা  প্রদেশের অন্তর্গত বিখ্যাত 'মেডান্টা হাসপাতালে'  দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে তার মেরুদন্ডের দু'টি হাড্ডি ক্ষয় হয়ে গেছে৷ অপারেশন করা হলেই কেবল সুস্থ হওয়া সম্ভব৷ প্রথম অপারেশন হয় গত ১৪ তারিখে৷ তার দু'দিন বাদে আরেকটি ছোট অপারেশন করাতে হয়৷

বিস্তারিত শুনুন দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষার্থী ও ourislam24.com-এর দেওবন্দ প্রতিনিধি হাওলাদার জহিরুল ইসলামের কাছে

মেডান্টা হাসপাতালের পথে
দেওবন্দ থেকে বের হয়েছিলাম ভোর সাড়ে পাঁচটায়৷ সূর্য ওঠার তখনও সোয়া ঘণ্টা বাকি৷ উস্তাদে মুহজতারাম আল্লামা মুজ্জাম্মিল বাদায়ূনীকে নিয়ে গাড়ি ছুটলো দিল্লির পথে৷ ভোরের নীরবতা ভেঙে তর তর করে এগিয়ে চললো আমাদের প্রাইভেট কারটি৷ আল্লামা বাদায়ূনী ৫ দিনের সফরে যাচ্ছেন বাংলাদেশে৷ ১১টায় হজরতকে নিউ দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন পর্যন্ত এগিয়ে দিলাম৷ বড্ডো মায়া হলো দেশ-মাতৃকা, মায়ের জন্য৷

পরক্ষণেই আমারা রওনা হলাম গুরগাঁও-এর পথে৷ এ এলাকেতেই ‘মেডান্টা হাসপাতাল৷’

মেডান্টা ভারতের উন্নত হসপিটালগুলির ২য় নম্বরে আছে৷ মাদ্রাজ হসপিটালের পরই এর অবস্থান৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ এখানে চিকিৎসা নিতে আসে৷ আফগানিস্তান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, আফ্রিকাসহ বহু দেশের মানুষ এই হসপিটালে এসে থাকেন৷ ভারতের বিত্তবানরাই কেবল এখানে আসতে পারেন৷

বিমানবন্দর থেকে দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার৷ মাওলানা ওলীপুরীর সঙ্গে থাকা মাওলানা আবদুল কুদ্দুসকে ফোন করে ঠিকানাটা জেনে নিলাম আরেকবার৷

মেডান্টা হসপিটালে
পৌঁনে বারোটার দিকে গাড়ি থামলো হাসপাতালের সদর গেইটে৷ আধুনিক ডিজাইনের পনেরো তলা বিল্ডিংয়ের চূড়ায় ইংরেজিতে বড় করে লেখা নজরে পড়লো 'মেডান্টা৷'

ড্রাইভারকে চা-নাশতা খেতে বলে পা বাড়ালামা ভেতরের দিকে৷ সবুজ ফুলেল মাঠ পেরিয়ে মূল দরোজার সামনে দাঁড়ালাম৷ ততোক্ষণে মাওলানা আবদুল কুদ্দুস এসে আমাদের সাথে সালাম মুসাফাহা করলেন৷ দু'টি চেকিং পর্ব শেষ করে মাওলানার পেছন পেছন ওয়েটিং রুম পর্যন্ত গেলাম৷ জানালেন, দেখা করতে হবে একজন একজন করে৷ সঙ্গে নেয়া যাবে না কিছুই৷ উন্নত হাসপাতাল বলে কথা৷ আইন বড্ডো কঠিন৷ রোগীর বেড পর্যন্ত পৌঁছুতে লাগবে একটি বিশেষ একটি আইডি কার্ড৷ যা হাসপাতাল থেকে ইস্যু করা হয়েছে৷

৪৭৪১ নম্বরের পথে
মাওলানা আবদুল কুদ্দুস একটি কার্ড ধরিয়ে দিলেন৷ কার্ডে রোগীর নাম, অবস্থান, রুম নম্বর লেখা আছে স্পষ্ট করে৷ ‘নুরুল ইসলাম বাংলাদেশ, ৭ম তলা, রুম নম্বর-৪৭৪১৷’ প্রথমে গেলেন মুফতি রাশেদ ভাই৷ ফিরে এলেন মিনিট দশেক বাদেই৷ এর পর গেলো জাকির হুসাইন৷ এবার এলো আমার পালা৷ কার্ড হাতে লিফটের দরোজায় অপেক্ষা করতে হলো মিনিট চারেক৷ ৭  তলায় লিফট থামতেই নেমে পড়লাম৷ ডানে মোড় নিয়ে এগোলাম খানিকটা৷ ছোট্ট একটি দরোজায় কালো পোশাকধারী একজন থামিয়ে দিলো৷ কার্ডটি হাতেই ধরা ছিলো আমার৷ গার্ড ভালো করে দেখে নিয়ে ইশারায় সামনে যাওয়ার অনুমতি দিলো৷ এটা ছিলো তিন নম্বর চেক৷

মিনিট তিনেক পা চালানোর পর ৪৭৪১ লেখা নেম প্লেটটি নজরে পড়লো৷ ইয়া লম্বা বিল্ডিংয়ের একদম শেষের কামরা এটি৷ দরোজাটি হাল্কা খোলা ছিলো৷ ভেতরে পা রাখবো ঠিক তখনই পেছন থেকে ভেসে এলো একটি নারীকণ্ঠ৷ ঘাড় ফিরিয়ে তাকলাম৷

‘কেস কে পাস যানা হ্যায়? কিয়া নাম হ্যায়? কাহাঁ কে রেহনে ওয়ালা?’ হিন্দি ভাষায় একগাদা প্রশ্ন ছুঁড়লো সে৷ তার সব প্রশ্নের জবাব দিলেই তবে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি মিললো৷ এটিই শেষ চেক৷

হজরতের পাশে
দরোজা ঠেলে ভেতরে গিয়ে নিচু স্বরে সালাম করলাম৷ কেনালগ লাগানো  ডান হাতটি এগিয়ে দিলেন৷ আলতো করে, পরম শ্রদ্ধায় মুসাফহা করলাম৷ তার চেহারায় নজর পড়তেই মনটা ডুকরে উঠলো৷ কে যেনো সুচালো বস্ত দিয়ে হৃদয়ে আঘাত করলো৷ চোখের পাতা ভিজে গেলো অজান্তেই৷ ইনিই কি হজরত ওলীপুরী? আমাদের খতিবে জামান? আমি ভুল দেখছি না তো!?
চেহারা চেনার উপায় নেই৷ শুকিয়ে এতোটুকু হয়েগেছেন৷ শরীরের প্রতিটা হাড্ডি গণনা করা যাবে সহজেই৷ হাতের চামড়া শুকিয়ে সাদা হয়ে আছে৷ মাথার চুল পড়ে টাক পড়ে গেছে৷ নিরুত্তাপ চাহনি৷ চেহারায় চিন্তার ছাপ স্পষ্ট৷

রুমে একটি ইলেক্ট্রিক খাটিয়া৷ সফেদ চাদরে ঢাকা৷ পাশেই মাঝারি একটি সোফা৷ তিন পাশে দেয়াল৷ এক পাশে স্বচ্ছ কাচেঘেরা৷ বাইরের বাতাস ভেতরে না এলেও আলোয় ভেসে গেছে পুরো রুম৷

হাসপাতালের পোশাকে একটি কাঠের চেয়ারে হজরত সোজা হয়ে বসা৷ বুক-পিঠ রাবার-বেল্টে মোড়ানো৷ পিঠের দিকে একটি ছোট্ট মেশিন লাগানো৷ সেখান থেকে চিকন পাইপ বেয়ে রক্তের মতো পানি গিয়ে পায়ের কাছে রাখা একটি ইলেক্ট্রিক বক্সে জমা হচ্ছে৷

কুশল বিনিময় হলো৷ দেওবন্দ থেকে গিয়েছি জেনে খুশি হলেন খুব৷ কী নাম, কী পড়ি, দেওবন্দে কতো বছর ধরে আছি- ছোট্ট করে প্রশ্ন করলেন৷ জোরে কথা বলতে পারেন না একদমই৷ জানালেন অপারেশনের কথা৷ আমিও খুটে খুটে জিজ্ঞেস করলাম হাসপাতালের জীবনকথা৷ জানালেন, খেতে পারেন না ঠিকমতো৷ হাসপাতাল থেকে দেয়া হয় নানা প্রকারের খাবার৷

মাছ, মুরগি, মহিষের গোশত, ডিম, রুটি, ভাত, আপেল, কলা বাদ পড়ে না কোনোটাই৷ রোগীর নিজ দেশীয় খাবারই সরবারাহ করা হয় হাসপাতাল থেকে৷ হুজুর বললেন, কোনোটাই আমার মুখে ধরে না৷ হালাল পদ্ধতিতে জবাই করা হয় না সন্দেহে গোশত কখনও ছুঁয়ে দেখি না৷ তার চাহনি বলছিলো তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইছেন৷ কিন্তু ডাক্তারের বারণ আছে৷ নিজেরও কষ্ট হচ্ছে৷

দোয়া চাইলেন সবার কাছে
হজরতের কথা বলতে কষ্ট হচ্ছিলো দেখে মিনিট পনেরো পরই বিদেয় নিতে উঠে দাঁড়ালাম৷ ছোট্ট বাচ্চার মতো ভাঙা ভাঙা স্বরে বলে উঠলেন, আপনি আমার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন, দেওবন্দের ছাত্রদের নিয়ে দোয়া করবেন৷ সবার কাছে দোয়া করতে বলবেন৷ দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম সাহেবকে আমার সালাম দিবেন৷ দোয়া চাইবেন৷ হসপিটালে আমার ব্যবহৃত নম্বরটিও তাকে দিবেন৷ শেষ বারের মতো হজরতের চেহারাটা আরেকটু দেখে নিলাম৷ মনে মনে আয়াতে শিফা পাঠ করলাম৷ সালাম মোসাফাহা করে দরোজার দিকে পা বাড়ালাম৷ শরীরটা এগিয়ে চললো, মনটা পড়ে রইলো ৪৭৪১ নম্বর রুমেই৷

olipuri

রোগটা কী?
টিবি ধরা পড়ে ছিলো প্রায় ৩০ বছর আগে৷ ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খেলে সেরে গিয়েছিলো তখন৷ ডাক্তার বাবু বলেছিলো অপারেশন না করলেও চলবে৷ হজরতও মনে করেছিলেন তাই৷ গত তিন মাস আগে অসুস্থ হয়ে ঢাকার এ্যাপোলো হসপিটালে ভর্তি হলে জানানো হয় টিবি তখন সেরে গেলেও নতুন করে দেখা দিয়েছে৷ তারা এর চিকৎসা শুরু করেন৷ তিনি কিছুটা সুস্থও হয়ে ওঠেন৷ ক'দিন বাদে আবার অসুস্থতা বেড়ে যায়৷ প্রচন্ড ব্যথা হয় কোমরে৷ বিশেষ একটি কারণে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পিজি হসপাতালে৷ নতুন করে শুরু হয় চিকৎসা৷ একটানা ২ মাস কেটে যায় পিজি হাসপাতালে৷ অবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে যেতে থাকে৷  আসল রোগটা এখানকার ডাক্তারগণ নির্ণয় করতে সক্ষম হননি৷ ফলে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা খরচ হলেও মেলেনি সুস্থতা৷

ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের অন্তর্গত মেডান্টা হসপিটালে নেয়া হলে ধরা পড়ে আসল রোগ৷ মেরুদণ্ডের দু'টি হাড্ডি ক্ষয় হয়ে গেছে৷ আর মাসখানিক পরে নেয়া হলে নাকি ওলীপুরীর আর সুস্থ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা ছিলো না৷

ভিন্ন খবর
তিনি যখন শরীর-মন সব দিক থেকে ভেঙে পড়েছেন (পিজি-তে চিকিৎসা নেয়ার পর) তখন সিলেটের এক তরুণ আলেম তাকে দেখতে ঢাকায় আসেন৷ ওলীপুরীর করুণ অবস্থা দেখে তার মন কেঁদে ওঠে৷ প্রতিজ্ঞা করেন হজরতকে ভারতে নেবেন উন্নত চিকিৎসার জন্যে৷ এ কথা জানালেন ওলীপুরী সাহেবকে৷ তিনি রাজি হলেন না৷ অনেক পীড়াপিড়ির পর জানালেন, ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো টাকা তার হাতে নেই৷ একটা জমি বিক্রি করে এতোটা দিন চিকিৎসা চালিয়েছেন৷ আরেকটা জমি বিক্রির কথা চলছে৷ ওটা বিক্রি হলেই সামনে চিকিৎসা করাতে পারবেন৷ (বাংলাদেশের এতো বড় একজন আলেম ও বক্তার কেনো চিকিৎসা করানোর টাকা নেই সে গল্প অন্য একদিন শোনানো যাবে৷)

ওই তরুণ আলেম তাকে আশ্বস্ত করে বললেন, আপনাকে আমি নিজ খরচে চিকিৎসা করাতে চাই৷ এতে যদি ৫০ লক্ষ টাকাও খরচ হয় তবুও আমি প্রস্তুত৷ শুনে তিনি যেনো আকাশ থেকে পড়লেন৷ চেখের পাতা ফেটে আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়লো৷ অসুস্থ শরীরে শোয়া থেকে বসে পড়লেন৷ দু'হাতে তরুণকে জড়িয়ে ধরে প্রাণ খুলে দোয়া করলেন৷

একদিনের মধ্যে ৩টি ভিসা করে নিলো ওই তরুণ৷ ঢাকা টু দিল্লি বিমান টিকিটও হয়ে গেলো৷ এরপর দিন ৭ নভেম্বর হুজুরকে নিয়ে ওই তরুণের ছোট ভাই ও হজরতের মেজ জামাতা দিল্লির উদ্দেশ্য রওনা হলেন৷ দিল্লির অদূরে মেডান্টা হসপিটালের যাবতীয় কাজও দেশে বসেই করে দিলেন তরুণ আলেম৷ তিনি নিজের ব্যবসার কাজ গুছিয়ে দিল্লি এলেন ৩ দিন পর৷ এখনও পর্যন্ত আছেন হজরতের পাশেই৷ ভারতের চরম নোট সংকটের মধ্যেও সেবা করে যাচ্ছে মনে-প্রাণে৷ আশা একটিই মাওলানা ওলীপুরী সুস্থ হয়ে উঠুক৷

কে সেই দানবীর দরদী তরুণ?
একজন আলেম৷ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী৷ পরোপকারী৷ হযরত ওলীপুরীর হিতাকাঙ্ক্ষী৷ নলজুরী ইমদাদুল উলূম মাদ্রাসা জাফলং, সিলেট-এর প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম৷ হজরত মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস সাহেব। দেখতে একজন সাদা-মাটা তরুণ৷ সবার সাথে মন খুলে কথা বলেন৷ ঠোঁটের আগায় হাসিটা লেগে থাকে সব সময়ের জন্য৷

জানতে চাইলাম, ‘ভারতে এসে এ পর্যন্ত হজরতের চিকিৎসায় কতো খরচ হয়েছে?’

‘বেশি নয়, এই তো প্রায়১২ লাখ রুপি৷’

‘আরো কতো খরচ হতে পারে?’

‘আনুমানিক আরো ১০/১৫ লাখ রুপি লাগতে পারে৷’

‘দৈনিক কেমন খরচ হয়?’

‘শুধু বেড ভাড়াই দিতে হয় ১৫ হাজার রুপি৷ অন্যান্য মিলিয়ে ২০ হাজারের মতো৷’

‘এতো বড় ভার আপনি কেনো নিলেন?'

'আমি মনে করি বর্তমান বাংলাদেশে আল্লামা ওলীপুরীর খুবই প্রয়োজন৷ আলেম-জনসাধারণ সবারই প্রয়োজন৷ তিনি বাংলাদেশের একটি মহা সম্পদ৷ এ সম্পদ বাঁচিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব৷’

কথা হলো আরো অনেক৷ তাকে প্রাণভরে ধন্যবাদ জানিয়ে পা বাড়ালাম অপেক্ষরত গাড়ির দিকে৷

হাসতালের চিকিৎসারত করুণ ছবিগুলো প্রকাশ করা হয়নি
সম্পাদনা রোকন রাইয়ান

আরো পড়ুন

হিজড়াদের নামাজ ও আলাদা মসজিদ; ইসলাম কী বলে?

নতুন বিবাহ আইন নিয়ে বিতর্ক: দুই মুফতির বক্তব্য


সম্পর্কিত খবর