শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


বেফাক মহাসচিবের ইন্তেকালে বিভিন্ন মহলের শোক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

abdul_jabbar4

আওয়ার ইসলাম: বেফাক মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জাব্বারের ইন্তেকালে শোকের ছায়া নেমে এসেছে কওমি অঙ্গনে। শোক জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। হাটহাজারি মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফী, চরমোনাই পীরসহ আলেমদের প্রায় সবগুলো রাজনৈতিক অরাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শোকবার্তা পাঠিয়ে তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে।

বেফাকুল মাদারিসিল কওমীয়া গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান ও গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মোহতামিম আল্লামা মুফতি রূহুল আমীন এক শোক বার্তায় বলেছেন, তার মৃত্যুতে দেশ এক জন ত্যাগী, পরিশ্রমী কাণ্ডারি হারালো। তার কাজের মাধ্যমে তিনি সবার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ তার প্রেরিত শোকবাণীতে বলেছেন, কওমী মাদরাসার  একজন অভিভাবক, শীর্ষস্থানীয় মুখলিস ও আল্লাহভিরু আলেম  আল্লামা আব্দুল জাব্বার জাহানাবাদী রহ.-এর ইন্তেকালে আমি গভীর ভাবে শোকাহত।আমি তাঁর মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়,স্বজন, তার ছাত্র এবং শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জানাচ্ছি।

যৌথ শোকবাণীতে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়বে আমীর মাওলানা ইসমাঈল নুরপরী ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী রহ. গত ৪০ বছরের ও অধিক সময়কাল যাবৎ নিরলসভাবে বেফাক বোর্ডের মাধ্যমে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে যে অবদান রেখেছেন তা অতুলনীয়। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন নিবেদীত প্রাণ অভিভাবককে হারালো।

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, মাওলানা আব্দুল জব্বারের ইন্তেকালে জাতি এক নিষ্ঠাবান কর্মসাধককে হারিয়েছে। এ ক্ষতি সহজে পূরণ হবার নয়। বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষার প্রচার-প্রসার, মানোন্নয়ন, কাঠামোবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল রূপ দানের পেছনে তাঁর অবদান ছিল অসামান্য। ইসলামী শিক্ষাকে নিয়ে যে সময় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ভয়াবহ ও চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে সে সময় বেফাক মহাসচিবের মৃত্যু নি:সন্দেহে জাতির জন্য এক বিরাট আঘাত।

খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এক শোকবার্তায় বলেছেন, ইসলামী শিক্ষার প্রসার ও বাংলাদেশে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে মাওলানা আবদুল জব্বারের ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরামের ঐক্যের অন্যতম কেন্দ্র বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক) প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ৩৮ বছর যাবত এ প্রতিষ্ঠানটিকে তিনি সন্তানের মত আগলে রেখেছেন। তাঁর নিষ্ঠা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় হাটি হাটি পা পা করে বেফাক আজ এক বিরাট মহীরুহে পরিণত হয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে সৃষ্টি হওয়া শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়।

রিসালাতুল ইনসানিয়াহ বাংলাদেশ গভীর শোক জানিয়ে বলেছে, হযরত মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদীর ইন্তেকালে জাতি এক মহান অভিভাবক হারালো। কওমি অঙ্গনের চলমান চরম সংকটকালে তাঁর মতো মানুষের প্রয়োজন ছিলো অনেক বেশি। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে মহান প্রভুর ফয়সালাই চূড়ান্ত ও শিরোধার্য। বেফাকের মতো একটি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সংকটকালে চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তিল তিল করে বুকে ধারণ করেছিলেন তিনি।

এফএফ

আরও পড়ুন

http://ourislam24.com/2016/11/18/%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF-%E0%A6%AE%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%AC-%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%87-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%95/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ