রোকন রাইয়ান: বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের মহাসচিব বিশিষ্ট আলেমে দীন মাওলানা আবদুল জব্বার আর নেই। শুক্রবার সকাল ১০ টা ১০ মিনিটে সবাইকে কাদিয়ে তিনি ইহকাল ত্যাগ করেন। ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রাজিউন।
শুক্রবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে আওয়ার ইসলামকে এ খবর নিশ্চিত করেন হাসপাতালে থাকা বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আবু ইউসুফ।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। ১৯৭৮ সালে বেফাক প্রতিষ্ঠার পর মৃত্যুর পর্যন্ত এর সঙ্গেই লেগে ছিলেন।
তিনি ৪ মেয়ে, স্ত্রী ৪ ভাই ও ১ বোন রেখে গেছেন। যাত্রাবাড়ি জামিয়া মাদানিয়া’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং সেখানে শিক্ষকতাও করেন। তিনি হাফেজ্জি হুজুর রহ. এর হাতে গড়া সন্তান। কাজী মুতাসিম বিল্লাহ রহ. এর স্নেহধন্য ছাত্র।
মাওলানা আবদুল জাব্বার দীর্ঘদিন ধরে কিডনি সমস্যা, ডায়বেটিকস ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গত সপ্তাহে তাঁকে প্রথমে খিলগাঁওয়ের খিদমাহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ডাক্তারদের পরামর্শে হলি ফ্যামেলি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন।
বাংলাদেশে ইসলামি শিক্ষা সম্প্রসারণে মাওলানা আবদুল জব্বারের অসামান্য অবদান রেখেছেন। জীবনের সবকিছু ঢেলে গড়ে তুলেছেন কওমি মাদরাসাগুলোর প্রতিনিধিত্বশীল দেশের সর্ববৃহৎ সংস্থা বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।
৫ ভাইয়ের মধ্যে মাওলানা আবদুল জব্বার দ্বিতীয়। ১৯৩৭ সালের বাগেরহাট কচুয়া থানার সহবতকাঠি গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম নাসিম উদ্দীন।
লেখালেখিতেও সরব ছিলেন মাওলানা আবদুল জব্বার। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১. ইসলাম ও আধুনিক প্রযুক্তি ২. মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র ৩. ভারত উপমহাদেশে মুসলিম শাসন ও তাদের গৌরবময় ইতিহাস ৪. ইসলামে নারীর অধিকার ও পাশ্চাত্যের অধিকার বঞ্চিতা লাঞ্ছিতা নারী।
মাওলানা আবদুল জব্বারের ইন্তেকালে দেশের শীর্ষ আলেমগণ শোক প্রকাশ করেছেন। দেশের কওমি মাদরাসা ও ধর্মীয় অঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আরো পড়ুন