হাসপাতাল থেকে হুমায়ুন আইয়ুব: ঢাকার মগবাজারের হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের বিছানায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী।
মাওলানা আবদুল জব্বার জাহানাবাদী জীবনের বিশাল অংশ দিয়েছেন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের পেছনে। এ কারণে মৃত্যুর পরও বেফাকের জমিনেই শুয়ে থাকতে চান তিনি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে তার শেষ ইচ্ছাটির কথা জানিয়েছেন বেফাকের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুফতি আবু ইউসুফ।
বাদ আসর হলি ফ্যামিলি’র মসজিদে এক বৈঠকে মাওলানা ইসমাঈল এ তথ্য জানান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, মাওলানা সাখাওয়াত হুসাইন, মাওলানা জোবায়ের আহমদ চৌধুরী ও মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব।
বৈঠকে মুফতি আবু ইউসুফ বলেন, মাস খানেক আগে বেফাক মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বার আমাকে তার অন্তিম ইচ্ছের কথা জানান। তিনি বলেন, বেফাকের ক্রয়কৃত দুটি জায়গা রয়েছে। এর যে কোনো একটিতে তার যেন শেষ স্থান হয় সে ব্যাপারে তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে উপস্থিত শীর্ষ আলেমগণ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে।
৮৪ বছর বয়সী মাওলানা আবদুল জব্বার জীবনের সবকিছু ঢেলে গড়ে তুলেছেন কওমি মাদরাসাগুলোর প্রতিনিধিত্বশীল দেশের সর্ববৃহৎ সংস্থা বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ।
৫ ভাইয়ের মধ্যে মাওলানা আবদুল জব্বার দ্বিতীয়। মাওলানা আবদুল জব্বারের একজন বোনও আছেন। বাগেরহাট কচুয়া থানার সহবতকাঠি গ্রামর মরহুম নাসিম উদ্দীনের সন্তান মাওলানা আবদুল জব্বার।
একটি ধার্মিক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেয়া মহান এই ব্যক্তি ঢাকার বড় কাটারা মাদরাসাসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণ করেন। তার জীবনের গৌরবময় অধ্যায় রচনা করেছেন বেফাকুল মাদারিস প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে।
আরআর
আরো পড়ুন: চোখের পাতা নড়ছে না, শরীরে জমেছে পানি
মসজিদের ইমাম ও ধর্মীয় শিক্ষকদের ওপর নজরদারির সুপারিশ