শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


কোনো মানবসন্তানকে ঘৃণা করার অনুমতি ইসলামে নেই: সৈয়দ আলী শাহ গিলানী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

Ali-Shah-Geelani copyআওয়ার ইসলাম: কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হুররিয়ত কনফারেন্সের নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানী ইন্ডিয়া টুডে পত্রিকাকে এই সাক্ষাতকারটি দিয়েছিলেন আরও বছরখানেক আগে। সাম্প্রতিক সময়ে আবার রক্তে ভাসছে কাশ্মীর। গত দুই মাসে কাশ্মীরে নিহত হয়েছে শত শত মানুষ। অন্ধ ও পঙ্গু হয়েছে কয়েক হাজার। আর সৈয়দ গিলানীকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। তাই সাক্ষাতকারটি এখনও খুবই প্রাসঙ্গিক।

[তিনি একটি রুটি ছিড়ছিলেন; গরম পানি খেয়ে নিলেন। এরপর চুমুক দিলেন চায়ে। প্রতিদিন বিকাল ৪টায় এটাই তার নাশতা। সৈয়দ আলী শাহ গিলানি ঘড়ির কাঁটা ধরে রুটিন মেনে চলেন।

(শেষ রাতের) তাহাজ্জুদ নামাজ, পত্রিকা পড়া, ভয়েস অব আমেরিকা এবং বিবিসি’র হিন্দি ও উর্দু সার্ভিসের খবর দিনে দু’বার শোনা, এক ঘণ্টা ব্যায়াম এবং ডায়েরির এক পৃষ্ঠা লেখা। বাড়িতে নেই কোনো টিভি।

কারণ, তিনি বিজ্ঞাপনগুলো পছন্দ করেন না। আর হ্যাঁ, কোনো আলোচনা নয় ভারতের সাথে, যে পর্যন্ত না তারা কাশ্মীরে জাতিসঙ্ঘের অধীনে গণভোট অনুষ্ঠানের ওয়াদা করার কথা স্বীকার করে নেয়। ‘ইন্ডিয়া টুডে’ সাময়িকীর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কাবেরি বামজাইকে গিলানি এটাই বললেন।]

প্রশ্ন : আপনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার যে অভিযোগ, সে সম্পর্কে কী ভাবছেন?
উত্তর : আমার বিরুদ্ধে ৯০টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এ পর্যন্ত। তাই ৯১ নম্বর এফআইআর কোনো ব্যাপারই না আমার জন্য। যা শ্রীনগরে বলে থাকি, সেটাই ২১ অক্টোবর বলেছি দিল্লিতে। এটা কঠিন বাস্তবতা। এর মানে, জম্মু ও কাশ্মীর বিতর্কিত ভূখণ্ড। এটা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ নয়।

১৯৪৭-এর ২৭ অক্টোবর ভারত এটাকে বলপ্রয়োগে জবরদখল করে নিয়েছে। কাশ্মীরের ভারতে সংযুক্তির দলিল নিয়ে অনেক প্রশ্ন। মহারাজা হরি সিং এতে স্বাক্ষর দেয়ার কথা। কিন্তু সইটা কি ছিল? পয়লা কথা হলো, তা ছিল না। দ্বিতীয় কথা, যে দিন এতে তার সই দেয়ার কথা ছিল, সে দিনটিতে তিনি শ্রীনগর থেকে সড়ক পথে যাচ্ছিলেন জম্মু। তা হলে কিভাবে তিনি সই দিতে সক্ষম হলেন? এদিকে, (ভারতের সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী) পণ্ডিত জওয়াহের লাল নেহরু লাল চকে বললেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনী কাশ্মীরে চিরদিন থাকবে না। আর আপনারা, কাশ্মীরবাসীরা, নিজেদের মুস্তাকবিল (ভবিষ্যৎ) নির্ধারণের সুযোগ পাবেন।” ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে ভারতে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে গেল জাতিসঙ্ঘে।

বিস্তারিত আলোচনা শেষে সেখানে এটাই স্বীকৃত হলো যে, ‘জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়। এটা বিতর্কিত এলাকা। ওই অঞ্চলের জনগণকে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দেয়া উচিত।’ এ প্রসঙ্গে প্রথম প্রস্তাব পাস হয়েছিল ১৯৪৮ সালের ২১ এপ্রিল। ভারত এটা মেনে নিয়ে এতে স্বাক্ষরও দিলো। এভাবে ১৮টি প্রস্তাবে ভারত সই দিয়েছে। এখন আমরা যদি বলি, যে সব ওয়াদা আপনারা করেছেন, আর যে প্রস্তাবগুলোতে আপনারা দিয়েছেন স্বাক্ষর, সেগুলো মেহেরবানি করে বাস্তবায়ন করুন, তা কী করে পাপ বলে গণ্য হয়? (কাশ্মীরে) কেন ভারতকে গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে হচ্ছে? কেনই বা জননিরাপত্তা আইনের আওতায় আমাদের তরুণদেরকে বন্দী করতে হচ্ছে?
প্রশ্ন : কিন্তু এটা তো চলে আসছে ৬৩ বছর ধরে। এসব কিছুর শেষ কোথায়?
উত্তর : ভারত ক্ষমতার ঔদ্ধত্যে ভুগছে। তবে আমরা বিশ্বাস করি একজন আছেন যিনি মহাশক্তি; তিনি সর্বশক্তিমান আল্লাহ। তিনি এই ঔদ্ধত্যের অবসান ঘটাবেন বৈকি। সর্বশক্তিমান আমাদের জনগণকে ইচ্ছাশক্তি দিয়েছেন ভারতীয় সম্প্রসারণবাদ মোকাবেলার জন্য। ভারত বড় দেশ। কিন্তু সে চায় আরো। কেবল কাশ্মীরকে নিজ নিয়ন্ত্রণে রাখাই নয়; ভারত চায় বাংলাদেশকে নিজের অন্তর্ভুক্ত করতে; চায় নিয়ন্ত্রণ করতে পাকিস্তানকে। এমনকি, বিজেপির এক নেতা বলেছেন, সর্বদাই আফগানিস্তান ছিল ভারতেরই অংশ।
প্রশ্ন : ভারতের কোনো কোনো অংশে কি এই দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা হয়েছে?
উত্তর : হাঁ। গত ২১ অক্টোবর দিল্লিতে যে সেমিনার হলো, সেখানে তো এটা ছিল স্পষ্ট। এটা ঘটেছে। কেননা, তারাও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ভারতীয় বর্বরতার তারাও শিকার। তারা জানেন, কাশ্মীরিদের সংগ্রাম ন্যায়সঙ্গত। আরো জানেন, কাশ্মীরের জনগণ তাদের সংগ্রামে জান, মাল এবং ওয়াক্ত (সময়) উৎসর্গ করেছে। যদিও ভারতীয় মিডিয়া এই সংগ্রামের সত্যিকার চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম নয়, ইন্টারনেটের যুগে এবং বিশ্বমিডিয়ার দ্বারা ভারতের মানুষ বুঝতে পারবে কাশ্মীরে কী ঘটছে।
প্রশ্ন : আপনি ঘৃণা করেন কাকে, ভারতের জনগণ না সরকারকে?
উত্তর : কোনো মানবসন্তানকে ঘৃণা করার অনুমতি ইসলামে নেই। এটা পাপ। আমাদের আপত্তি ভারতের সাম্রাজ্যবাদী নীতি এবং অন্ধ শক্তিমত্তার ব্যাপারে। কাশ্মীরের প্রকৃত পরিস্থিতির বিষয়ে ভারতীয় জনগণ সচেতন নয়। আমরা ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরোধী।
প্রশ্ন : কিন্তু কাশ্মীরের নেতারাও কি কাশ্মীরকে নীচে নামিয়ে দেননি?
উত্তর : ১৯৪৭, ’৫৩ ও ’৭৫ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে প্রতারণা করার জন্য তাদেরকেও দায়ী করা যায়। জম্মু-কাশ্মীরের, সেই সাথে ভারত ও পাকিস্তানের জনগণের দুর্ভোগের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী যে লোকটি, তিনি হলেন শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। কাশ্মীর সঙ্কট না থাকলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক থাকতো চমৎকার। তখন জম্মু ও কাশ্মীর নিজের লক্ষ্য অর্জন করতে পারত। ১৯৪৭-এ আবদুল্লাহ কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীকে স্বাগত জানালেন এবং ভারতের সাথে সংযুক্তির দলিলকে দিলেন সমর্থন। এরপর তিনি ১৯৫৩ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পরিচালনা করলেন জম্মুর অন্তত আড়াই লাখ মুসলমানের গণহত্যা এবং কমপক্ষে দশ লাখ মুসলমানের দেশত্যাগ। এসব সাঙ্গ হলে ১৯৫৩ সালে তিনি বললেন, ‘ভাই, মুঝসে গালতি হো গায়ি (আমি ভুল করে ফেলেছি)।’ ১৯৭৫ সালে আবার তিনি কাশ্মীরি জনগণকে প্রতারিত করেছেন। সে বছর স্বাক্ষর করেছেন ইন্দিরা গান্ধীর সাথে চুক্তি।
প্রশ্ন : কিন্তু পাকিস্তানি নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েও তো কথা তোলা যায়।
উত্তর : তারাও ভুল করেছেন। কিন্তু তাদের তো বিশ্বাসঘাতক বলা যায় না, যেমন বলা যায় কাশ্মীরি নেতৃত্বকে। পাকিস্তান সব সময়েই আমারে আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকারকে সমর্থন করেছেন। তারা আমাদের জন্য একাধিক যুদ্ধ করেছেন ভারতের সাথে। তাদের তরুণরা এখানে বন্দী হয়েছে।
প্রশ্ন : আপনি কেন সংলাপে অংশ নিচ্ছেন না? সংলাপের উদ্যোক্তারাও বলছেন, কাশ্মীর বিতর্কিত বিষয়।
উত্তর : এটা কেবল কালক্ষেপণের জন্য এবং ওবামাকে এটা দেখানোর জন্য যে, ভারত জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে নিয়ে ব্যস্ত। আমরা ৫ দফা ফর্মুলা দিয়েছি। সরকার যদি আন্তরিক হতো, তার চুপ থাকার কোনো কারণ ঘটত না।
প্রশ্ন : আমেরিকা কি আপনাকে সন্দেহের চোখে দেখে না এবং বিশ্বের ইসলামি মৌলবাদীদের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করছে না?
উত্তর : মূল বিষয় হলো, ভারতের সশস্ত্র দখলদারি। এখানে ইসলামপন্থী কিংবা সেকুলার হবার প্রশ্ন কোত্থেকে আসে? ইচ্ছাকৃতভাবেই এই বিভ্রান্তি তৈরি করা হয়েছে। আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষই মুসলিম। তা হলে, আমরা কীভাবে ইসলামের কথা না বলে পারি? আপনারা কি আশা করেন, মুসলমান পরিচয় আমরা অস্বীকার করব?
প্রশ্ন : কাশ্মীর ইসলামী রাষ্ট্র হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি?
উত্তর : এমন কোনো দেশ বর্তমানে নেই যেখানে প্রকৃত অর্থেই ইসলামের চর্চা করা হচ্ছে। যখনই খাঁটি মুসলমানরা ইসলামি জীবনধারা গ্রহণ করবে, তখন প্রতিষ্ঠিত হবে সুবিচার, সাম্য ও নৈতিক মূল্যবোধ।
প্রশ্ন : কাশ্মীর কি ইসলামি রাষ্ট্রের মডেল হবে?
উত্তর : সর্বশক্তিমান জনগণকে সাহায্য করুন, যাতে কাশ্মীর মডেল হতে পারে। আসলে এখন প্রকৃত কোনো ইসলামি রাষ্ট্র নেই। অনেকেই তা হবার দাবি করেন বটে; তবে কোথাও সে চরিত্র দেখা যায় না।
প্রশ্ন : কাশ্মীরের মানুষ যদি পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে চায়, তাহলে কী করবেন?
উত্তর : এ মুহূর্তে সেটা প্রশ্ন নয়। প্রশ্ন হলো, জনগণকে সে অধিকার অবশ্যই দিতে হবে। (তার ছেলে নাসিম বললেন, ‘মানুষ ভারতের পক্ষেও ভোট দিতে পারে।’ গিলানি তার ছেলেকে কথার মাঝে বিঘ্ন না ঘটাতে বললেন জোর দিয়ে)
প্রশ্ন : কাশ্মীরীরা কি ইসলামি রাষ্ট্রের জন্য প্রস্তুত?
উত্তর : প্রস্তুত ‘কারণা পড়তা হ্যায়’ (করতে হবে)। এখন তো আমরা ক্রীতদাস। দিল্লি পাবলিক স্কুল ও আর্মি স্কুলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তরুণদের মনমানসিকতা তৈরি করছে; তাদের ভারতীয়করণ করছে। সবার আগে, আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করা চাই।
প্রশ্ন : এই নতুন রাষ্ট্রে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কি স্বাগত জানানো হবে?
উত্তর : তারা তো আমাদের ভাই। যে কোনো সময়ে তাদের স্বাগতম।
প্রশ্ন : কাশ্মীরের বাইরের মুসলমানদের ব্যাপারে কী বলবেন? তাদেরকেও কি স্বাগত জানাবেন?
উত্তর : হাঁ, বিশেষ করে জম্মুতে। সীমান্ত অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ আজাদ কাশ্মীর চলে গেছে।
প্রশ্ন : কিন্তু যদি কাশ্মীর পাকিস্তানের পক্ষে যায়, ভারতের মুসলমানদের ক্ষেত্রে কি কোনো প্রতিক্রিয়া হবে না?
উত্তর : ভারতের মুসলমানরা জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্যার সাথে জড়িত নয়। আর যদি কিছু ঘটেই, সেটা ভারতীয় প্রশাসনের দুর্বলতা। জমিয়তে উলামার সভাপতি আসাদ মাদানির বিবৃতির দিকে লক্ষ করুন। তিনি বলেছেন, কংগ্রেস শাসনামলে ৪০ হাজারের বেশি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে। যারা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে দিলো, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নয়া হয়নি। দেখুন, কী ঘটেছে গুজরাটে। ভারতের সশস্ত্র দখলদারি থেকে কাশ্মীর মুক্ত হয়ে গেলে এর জন্য ভারতীয় মুসলমানদের যেন দুর্ভোগ পোহাতে না হয়।
প্রশ্ন : যেসব তরুণ (কাশ্মীরে) রাস্তায় নামছে, তাদের সম্পর্কে বলুন। তাদের প্রেরণার উৎস কী?
উত্তর : যেখানেই আমি তরুণদের উদ্দেশে বক্তব্য রেখেছি র‌্যালি, সেমিনার কিংবা মসজিদে, বলেছি, তাদের অনুপ্রেরণার উৎস কুরআন ও সুন্নাহ। এর সুফল এখন পাওয়া শুরু হয়েছে। সচেতনতা দেখা যাচ্ছে। এর সূচনা ১৯৪৭ থেকে আমাদের স্থাপিত স্কুলগুলো এবং আমরা যেসব বইপুস্তক প্রকাশ করেছি, তার মাধ্যমে।
প্রশ্ন : (ভারতের) এই সরকার কাশ্মীর ইস্যুতে কতটা আন্তরিক?
উত্তর : ১৯৪৭ থেকে অনুসৃত, পুরনো সেই ম্যাকিয়াভেনিয়ান কৌশলই তারা ব্যবহার করছেন।
প্রশ্ন : কিন্তু আপনি নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন। তখন আপনার কী লক্ষ্য ছিল?
উত্তর : আমরা গণতান্ত্রিক পন্থায় আমাদের কণ্ঠকে উচ্চকিত করতে চেয়েছি এবং ভেবেছি, ভারত এর প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে। তবে ভারত এতে মোটেও সাড়া দেয়নি। আপনি কাউকে দেয়ালে ঠেসে ধরলে বন্দুক বা পাথর হাতে তুলে নেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।
প্রশ্ন : বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতৃবৃন্দের মাঝে কি বিভাজন নেই?
উত্তর : তারা সবাই নিজ নিজ পর্যায়ে কাজ করছেন। বিভাজন পুরোপুরি অতীতের বিষয়।
প্রশ্ন : তাই আপনি হলেন কাশ্মীরে ‘আজাদির দাদা’, অর্থাৎ সে ব্যক্তি যিনি ভারতকে বিভক্ত করতে চান।
উত্তর : আপনার যা ইচ্ছা, সেটাই আমাকে বলতে পারেন। আমি সহজ-সাধারণ মানুষ। সচেতন মুসলিম হতে পেরে বেশ গর্ববোধ করি। ইসলামী জীবন ব্যবস্থা অনুসরণের জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহ যেন আমাদের সাহায্য করেন। যা হোক, কাশ্মীর কখনো ভারতের অংশ নয়। তা হলে আমি ভারতকে বিভক্ত করার কথা উঠবে কেন?
প্রশ্ন : আপনি কি স্বাধীন কাশ্মীরের নাগরিক হবার জন্য অরুন্ধতী রায়কে আমন্ত্রণ জানাবেন?
উত্তর : তিনি যদি পছন্দ করেন, কেন আমন্ত্রণ করবো না?

সূত্র: onnodiganta

এফএফ


সম্পর্কিত খবর