শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


এ মুহূর্তে সংলাপের প্রয়োজন নেই

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে প্রয়োজন হলে অবশ্যই সংলাপের আয়োজন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন নব নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, গণতন্ত্র বিশ্বাস করবো, সংলাপকে বিশ্বাস করবো না এটা তো হতে পারে না। সংলাপ আমিও চাই। প্রয়োজন হলে সংলাপ করবো। তবে এ মুহূর্তে সংলাপের কোনও প্রয়োজন নেই।’

obaidul kader

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় ইস্যু তৈরি হলে অবশ্যই সংলাপ হবে। আর সংলাপ করার উদাহরণ তো আমাদের রয়েছে। জাতীয় প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সংলাপের জন্য বেগম জিয়াকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, তিনি তো আসেননি। কোকোর মৃতুতে দেশের প্রধানমন্ত্রী শোক জানাতে গিয়েছিলেন, দরজা তো খোলেননি। এ মুহূর্তে সংলাপের প্রয়োজন নেই।’

রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সংলাপে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন। বিএসআরএফ’র কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সংলাপে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি শ্যামল সরকার, সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংবিধানের আলোকে ২০১২ সালের নিদর্শনে রাষ্ট্রপতির এখতিয়ারে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা পরিষ্কার বলা আছে। সেভাবেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সেটি তো রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার, এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। সেখানে কোনও সমস্যা হবে না। আশা করছি বিএনপিরও হবে না। তারা এতো ভয় পাচ্ছে কেন? সেটি তো আমি বুঝি না।

তবে ওবায়দুল কাদের মনে করছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অবশ্যই অংশগ্রহণ করবে। কারণ বিএনপি গত নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যে ভুল করেছিলো সেই ভুল তারা আর করবে না।

সড়ক, পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, গত নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পায়। বর্তমান রাজনীতিতে বিএনপির যে দৈন্যদশা সেটা সেই ভুলেরই কারণ। কাজেই আগামী নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের সেই রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা ও দৈন্যতা ঘুঁচানোর চেষ্টা করবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যদি মন্ত্রীপরিষদ পরিবর্তিত হয় বা প্রধানমন্ত্রী যদি আরও ২/১টা মন্ত্রণালযের দায়িত্ব দেয় সেটা সুষ্ঠুভাবে চালাতে পারবো। আমার মন্ত্রণালয়ের কোন কাজ পেইন্ডিং থাকে না। দিনের কাজ দিনেই শেষ করি। আজ সকালেও সব কাজ শেষ করেছি।

‘আমরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদ মোকাবিলা করতে চাই। আমাদের মূল লক্ষ্য পরবর্তী প্রজন্ম এবং পরবর্তী নির্বাচন। এক্ষেত্রে আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার পরবর্তী প্রজন্ম। চমৎকার একটি আধুনিক রাষ্ট্র পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তৈরি করতে চাই। আমাদের এবারের সম্মেলনে এটিকেই আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি বলেও মন্তব্য করেন নব নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ