শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৭ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
১৬ মাসে কোরআনের হাফেজ কক্সবাজারের ওবায়দুল করিম আমরা কোরআনকে জাতীয় সংসদে নিয়ে যেতে চাই: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরে শনিবার বিক্ষোভ করবে জামায়াত  প্রশাসনকে দ্রুততার সাথে বস্তুনিষ্ঠ ব্যবস্থা নিতে হবে: ইসলামী আন্দোলন আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জ জেলায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  যারা আমাকে অপহরণ করেছে তাদের বাংলাদেশি মনে হয়নি জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায় তাহলে ভাগ্যও বদলাবে না: শায়খে চরমোনাই শ্রীমঙ্গলে বেওয়ারিশ কুকুরের আতঙ্ক: এক ঘণ্টায় তিন শিশু আহত ‘দুঃখজনক হলো ইসলামি অঙ্গন থেকে শক্তিশালী মিডিয়া গড়ার উদ্যোক্তা আমরা পাইনি’ ২৪ এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এখন পর্যন্ত পূরণ হয়নি: সারজিস

কেমন আছেন কবি আল মাহমুদ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ মারুফ

'ভাই আমার জন্য দোয়া কইরো' বলেই তিনি কেঁদে ফেললেন। কিছুক্ষণ চুপ থেকে পুনরায় বলতে লাগলেন- আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি। তবে বার্ধক্যের কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছি। কথাগুলো বললেন বর্তমান বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ।

ঢাকার মগবাজারস্থ কবিভবনে গিয়ে দেখি বসে আছেন কবি। আমরা কাছে গেলে আমাদের দিকে মিটিমিটি চোখে তাকালেন। বড়ো ছেলে শরীফ আহমদ কবির গায়ে শার্ট পরিয়ে দেন। আমরা মোসাফাহা করে পাশে বসি। বাসায় বসেই দিন কাটাচ্ছেন কবি। ঘরের ভেতরই হাঁটাচলা করছেন নিয়মমত।

বড়ো ছেলে শরীক আহমদ জানান, 'বেশিরভাগ সময়ই এখন তাঁর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাটে। ডাক্তারের নিষেধ রয়েছে মাথায় ঝুঁকি না নেয়ার জন্য। তাই আপাতত লেখালেখি বন্ধ। তবে বিভিন্ন পত্রিকার লোকজন আসে বলে কিছু লেখা প্রতিদিনই তাকে লেখতে হচ্ছে। হাতে তুলে খাবার খাওয়াতে হয়। আমার সহধর্মিনী এই দায়িত্বটা সুচারুরূপে পালন করে যাচ্ছেন। তবে একাএকাই টয়লেটে গিয়ে প্রয়োজন সারতে পারেন তিনি।'

কবিকে বললাম আপনার প্রিয় খাবর কোনটা। তিনি খুব উচ্ছাসের সাথে বললেন, সবধরনের খাবরই আমি খেতে পারি। সব খাবরই আমার প্রিয়। তবে ফলের ক্ষেত্রে কমলা, আঙুর ও রসজাতীয় ফল এখন বেশি পছন্দ।

কবি আল মাহমুদের বয়স ৮১ চলছে। শরীরে বার্ধক্যের ছাপ পড়লেও এখনও তিনি বেশ শক্তিশালী। তারুণ্যসুলভ মন। স্মৃতিশক্তিতেও কোন দুর্বলতা আসেনি। কথাও বলেন গুছিয়ে খুব সুন্দরভাবে। কানে একটু কম শুনলেও কাছে গিয়ে বললে স্পষ্ট বোঝেন। তবে বহু আগেই চোখ খু্ইয়েছেন বই পড়ে পড়ে। নিজ হাতে তিনি লেখার কাজ করতে পারেন না বলে অন্যকে দিয়ে শ্রুতিলিখন করাচ্ছেন বহুদিন থেকে।

al-mahmud4

ইচ্ছার অনেক কিছুই এখনও বাকি রয়ে গেছে কবির। তিনি সেগুলো বাস্তবায়ন করে যেতে চান। 'মহাকাব্য' লিখে শেষ করতে চান ইন্তেকালের আগে। তিনি জানালেন অনেকদূর এগিয়েছে মহাকাব্য। এখন আপাতত বন্ধ। আবার নতুন করে লেখা শুরু করব।

মহাকাব্য লেখার প্রেক্ষাপট জানতে চাইলে তিনি রবীন্দ্রনাথের কাব্যের কয়েকটি লাইন আবৃত্তি করেন। খুব তেজি মনেই আবৃত্তি করলেন বোঝা গেলো। নিয়মিত নামাজ না পড়তে পাড়লেও সুযোগ পেলেই নামাজ পড়েন। জিকির আজকারও করেন সময়ে সময়ে।

তার জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করলেন। তাঁর আত্মজীবনী যেভাবে বেড়ে উঠি' থেকে নির্বাচিত কিছু অংশ পড়ে শুনালে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। নিজেও কিছু স্মৃতি শেয়ার করেন। আশি বছরের বুড়োর কথাগুলো এখনো বেশ তরতরে। যতদিন বাঁচেন সুস্থতায় বাঁচুন প্রিয় কবি। অফুরন্ত শুভেচ্ছা।

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ