শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


সৃজনশীল সাহিত্যে ‘নবপ্রকাশ’ এর অগ্রযাত্রা প্রশংসনীয়: শরীফ মুহাম্মদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

noba_prkashআওয়ার ইসলাম: সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘নবপ্রকাশ’-এর আয়োজনে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে সদ্য প্রকাশিত দুটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। গতকাল (১৭ অক্টোবর) বিকেল চারটায় বাংলাবাজার ইসলামী টাওয়ারের সাততলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সাহিত্যপ্রেমী বহু মানুষের উপস্থিতিতে মনোরম আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে এই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান। এতে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন, মাসিক রহমত সম্পাদক মনযূর আহমাদ ও মাসিক আল কাউসার-এর নির্বাহী সম্পাদক শরীফ মুহাম্মদসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

কথাশিল্পী সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ‘রাজকুমারী’ সিরিজের অনুবাদক কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক, মাকতাবাতুল ইসলামের কর্ণধার তাকী হাসান, নবপ্রকাশ-এর প্রকাশক আসাদ খান, জুবায়ের মহিউদ্দিন, তুহিন খান, আশরাফ মাহাদী, তালহা যোবায়ের, তানভীর মুহাম্মাদ, মাহদী হাসান, জাওয়াদ নাদিম, খালিদ মুহাম্মাদ ও কাজী যুবাইর মাহমুদসহ আরও একঝাঁক সতেজপ্রাণ লেখক-পাঠক।

আয়োজনটি ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রার। ভিন্ন আঙ্গিকে আয়োজিত ও উপস্থাপিত একটি নান্দনিক অনুষ্ঠান। যার মধ্য দিয়ে বিশ্বাসদীপ্ত সাহিত্যানুরাগীদের বাংলা সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগ ও ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। সেই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের কবি-সাহিত্যিক ও তাদের সৃজনশীল সাহিত্য সৃষ্টির স্বীকৃতি প্রদান ও অভিনন্দন জ্ঞাপনের জন্য প্রকাশ পেয়েছে এক অনন্য মননশীলতা।

নবপ্রকাশের নতুন বই দুটি হলো- সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর রচিত 'বদরের বীর' এবং ড. করম হোসাইন শাহরাহি রচিত ও কাজী আবুল কালাম সিদ্দীক অনূদিত উপন্যাস 'রাজকুমারী : সিক্রেট অব দ্য টেম্পল'। অবিভক্ত আসাম-বাংলার প্রধান দুই সম্প্রদায় হিন্দু-মুসলমান তাদের নিজস্ব বিশিষ্টতা নিয়ে এ উপন্যাসে উপস্থিত। আজ থেকে ৪-৫শ বছর আগেকার অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশের মোঘল সাম্রাজ্যের সময়কার ইতিহাস। সেই প্রাচীন ইতিহাসকে তুলে আনতে গিয়ে লেখক কাল্পনিক ঘটনার আশ্রয়ে সমসাময়িক জীবনধারার সঙ্গে একটি মেলবন্ধন গেঁথে দিয়ে সৃষ্টি করেছেন একটি অনুপম কাহিনি।

অনুষ্ঠানে মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ বলেন, মননশীল ইসলামি সাহিত্যের পাশাপাশি সৃজনশীল সাহিত্যের প্রতি ‘নবপ্রকাশ’-এর অভিযাত্রা আমার কাছে বেশ আশা জাগানিয়া মনে হচ্ছে। মৌলিক সাহিত্যের ক্ষেত্রে সীমারেখা কী হবে- তা আমাদের তরুণ আলেমরা জানেন। সুতরাং এখনকার সময়ে আমরা যারা সৃজনশীল সাহিত্য নিয়ে কাজ করবো- তাদের জন্য নবপ্রকাশ একটি দরোজা খুললো বলে আমি মনে করি। আমি তাদের অভিনন্দন জানাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখে আসছি- ইসলামি ধারার প্রকাশনীরা সব সময় একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরাপদ পথ খুঁজেন। সেটা হচ্ছে- কিছু ফাজায়েল থাকবে, কিছু মাসায়েল থাকবে ইত্যাদি। যে বইগুলো মানুষ সাদরে গ্রহণ করে। তাবলীগি ভাইয়েরাও লুফে নেন, মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরাও লুফে নেন, আধ্যাত্মিক সাধক বা চর্চাকারীরাও লুফে নেন। যে বইগুলো লুফে নেয়া হয় সেগুলো ভালো, যারা লুফে নেন তাঁরাও ভালো। সব ঠিক আছে। কিন্তু এই যুগে আরো একটি বিষয়ের বিশাল চাহিদা আছে লুফে নেয়ার। ইসলামের সৌন্দর্য, বিশ্বাস ও চিন্তার বিশুদ্ধতা ইতিহাসপরম্পরায় সোনালি যুগের সেই কথাগুলো এযুগের ভাষায় উঠে আসুক। আমরা চাই, মানুষ এগুলোও পড়ুক। কিন্তু বাংলা সাহিত্য বলতে আমরা যা বুঝি- সেই বইগুলোর পাঠকেরাও যেন ইসলামি চেতনাবাহী বইগুলো লুফে নেন, এদিকে আগ্রহী হয়ে উঠেন- সেই উদ্যোগ আমাদের প্রকাশকেরা নিচ্ছেন না বা সেদিকে তাঁরা যেতে চাচ্ছেন না। আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল, বহমান জীবনধারা ও যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মানসিকতায় যে ব্যাপক পরিবর্তন সেটাকে সামনে রেখে কাজ করা তাঁরা একটা ঝামেলা মনে করেন, একটা অপরিচিত পথ মনে করেন। নবপ্রকাশ সেই জায়গাটায় এসেছে বা আসতে চাচ্ছে। আমি তাদের এই পথে স্বাগত জানাই এবং যাতে টিকে থাকতে পারে- সেই দুআ করি।

উল্লেখ্য, উপন্যাস, গল্প, ইতিহাস- এই তিন বিষয়ের বই প্রকাশে নবপ্রকাশের দৃঢ় প্রত্যয় রয়েছে এবং খুব শিগগিরই নতুন আরও কিছু বই প্রকাশে নবপ্রকাশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।

আরআর

add-final


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ