শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


মসুলের আইএস জঙ্গিদের নিয়ে মহাচিন্তায় ইইউ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলমা: ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল থেকে ইসলামিক স্টেটকে উৎখাতের ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে সোমবার থেকে।

পশ্চিমা দেশগুলোর বিমান হামলার সাহায্য নিয়ে ৩৪,০০০ ইরাকি সৈন্য, শিয়া মিলিশিয়া এবং হাজার পাঁচেক কুর্দি যোদ্ধা চারদিক দিয়ে মসুলের দিকে এগুচ্ছে।

কিন্তু এই অভিযানের সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ইউরোপ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তা বিষয়ক কমিশনার জুলিয়ান কিং জার্মান পত্রিকা ডি ভেলটকে দেয়া এক সাক্ষাৎকার বলেছেন, বিতাড়িত জিহাদিদের অনেকেই ইউরোপে ঢুকে পড়তে পারে।

তিনি বলেন, পালানো জিহাদিদের অল্প কিছু ঢুকলেও 'চরম হুমকি' তৈরি হবে। "আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।"

আইএস

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার এই উদ্বেগের কারণ রয়েছে। বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য বলছে, মসুলে যে ৫০০০ এর মত আই এস যোদ্ধা রয়েছে, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ইউরোপীয় মুসলিম রয়েছে।

জুলিয়ান কিং বলেন, মসুলে ইউরোপীয় মুসলিম জিহাদিদের সংখ্যা কম-বেশি ২৫০০ হতে পারে।

তিনি বলেন, এরা সবাই যে পালিয়ে ইউরোপে ঢুকতে পারবে তা হয়ত নয়, কিন্তু অল্প কিছু ঢুকলেও বিপদ তৈরি হবে।

মসুল

মসুলে ১৫ লাখের মত বেসামরিক লোকের বসবাস।

জাতিসংঘ এবং অন্যান্য ত্রাণ সংস্থা সাবধান করছে, চলতি সামরিক অভিযানের ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহ বা মাসে ১০ লাখ লোক বাস্তচ্যুত হতে পারে।

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ভয় পাচ্ছে, আই এস যোদ্ধারা বেসামরিক লোকজনকে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করার জন্য তাদেরকে আটকে রাখার চেষ্টা করবে।

আবার অনেক যোদ্ধা বেসামরিক লোকজনের ছদ্মবেশে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে। সেটাই ইউরোপের ভয়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র পিটার কুক বলেছেন, মসুলে আই এসের কয়েক হাজার যোদ্ধা পালানোর চেষ্টা করবে, নাকী শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে - তা এখনও বোঝা যাচ্ছেনা।

সূ্ত্র: বিবিসি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ