শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

বেফাক সম্মেলনে কী বলেছিলেন মাওলানা আনোয়ার শাহ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

olama_sommelan11আওয়ার ইসলাম: আজ (১৭ অক্টোবর) বেফাক আয়োজিত মিরপুরের ওলামা সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ জামিয়া ইমদাদিয়া’র মুহতামিম মাওলানা আনোয়ার শাহ’র বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে তুমুল বিতর্ক। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষকে বিবাদে লিপ্ত হতেও দেখা গেছে। কেউ কেউ ঘটনাকে পক্ষে বিপক্ষে বাড়তি রঙ দিয়ে বড় করছেন। এতে দুই পক্ষেরই সম্মানের হানি হচ্ছে বলেই বিশ্লেষকদের অভিম।

বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য আওয়ার ইসলামের অফিসে অসংখ্য ফোন আসছে সম্মেলন শেষ হওয়ার পর থেকেই। আওয়ার ইসলামের  ফেসবুক পেইজের কমেন্টেপাঠকরা বিষয়টি নিয়ে বিবাদে জরিয়েছেন। জানতে চেয়েছেন প্রকৃত ঘটনা।

বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে তেমন গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যেভাবে দুই পক্ষের নিন্দা ও তীব্র মন্তব্য আসছে সেটাই বরং নতুন সমস্যা ও সম্মান হানীর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে অনেক ফেসবুক ইউজারের অভিমত।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মাওলানা আনোয়ার শাহ বলেন, ওলামা সম্মেলনে আলেমগণই আছে না ছাত্ররাও? তিনি বলেন, আমি হক কথা বলতে দ্বিধা করি না। আমাকে বলা হয় শাহবাগী মাওলানা। শাহ বাগ অর্থ কী আলেমরা জানেন। এরপর তিনি দেওবন্দের উছুলে হাশতেগানার মূলনীতি উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, উসুলে হাশতেগানা’র মতে মাদরাসার কোন স্থায়ী ইনকাম থাকবে না। আমাদের মাদরাসাগুলোর মার্কেট বা অন্য কোন উপায়ে স্থায়ী ইনকাম আছে কি না?

এরপর মাওলানা আনোয়ার শাহ উসুলে হাশতেগানা নিয়ে বিশদ আলোচনা করতে গেলে মঞ্চের পাশ থেকে কিছু অতি উৎসাহী দর্শক আওয়াজ তুললে  তিনি ঐক্যের আহবান করে নিজের বক্তব্য শেষ করেন।

বিষয়টি নিয়ে মঞ্চে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি আওয়ার ইসলামকে বলেন, মাওলানা আনোয়ার শাহ স্বেচ্ছায় তার বক্তব্য বন্ধ করে দেয়ার পর মঞ্চে উপস্থিত শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও বেফাকের নেতৃবৃন্দ বিষয়টিকে দু:খজনক ও অনাকাঙ্খিত বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে নেতৃবৃন্দ তাকে বারবার অনুরোধও করেন তার বক্তব্য শেষ করার জন্য।

বিশ্লেষকদের অভিমত, মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহ একজন সিনিয়র ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। তিনি উসুলে হাশতেগানা নিয়ে আলোচনা বা কওমি মাদরাসা নিয়ে গঠনমূলক পর্যালোচনা করতেই পারেন এ জন্য তাকে নিয়ে এমন সমালোচনা বা তার সম্মানহানী অনুচিত। সর্বপরি বেফাকের সম্মেলন থেকে আল্লামা আহমদ শফী যে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন সেটাতে থাকা ও সবাইকে রাখা একান্ত জরুরি। তা না হলে বিপদ অবধারিত বলেই মনে করছেন বেফাক নেতৃবৃন্দ।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ