আব্দুল্লাহ বিন রফিক
স্বীকৃতি নিয়ে কালো ঘাম ছুটিয়েছেন অল্প-বিস্তর সকলে। কেউ পরক্ষে আর কেউ প্রত্যক্ষে। গরমের দাবদাহে স্বীকৃতির শ্লোগানে গাড়িতে গাড়িতে দৌঁড়ে অনেকেই বেশ আনমনা ক্লান্ত-শ্রান্ত। কেউবা আবার বেজায় দীর্ঘ মিটিংয়ে বসে বসে অস্থির চিত্তে ঘড়ির কাঁটা গুনছেন সময়ের চক্র অন্তিমে ফেরার প্রতীক্ষায়। আর কওমি ছাত্ররা একবিংশ শতাব্দীতে রাজনীতি আর গদি স্বার্থের পাঠাবলী হয়ে জীবনের বেলাভূমিতে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের গন্তব্যে দাঁড়িয়ে স্বীকৃতি নিয়ে পিঠা ভাগাভাগির রাজনীতি প্রত্যক্ষ করছে।
সবাই যখন দৌঁড়ে যার যার উদ্দেশ্য সাধনে ব্যস্ত তখন আওয়ার ইসলাম বুনো ঝোপের তলে বসে হাওয়া খেয়ে বেরাক- এমন গুরুতর ক্ষণে এমনটা কেউই আশা করবে না নিশ্চই। তাই স্বীকৃতি বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের হুবহু মতামত তুলে ধরছে আওয়ার ইসলাম। সেই ধারাবাহিকতায় শরতের এই মেঘলা দিনে টুকটুক পায়ে ছুটে গিয়েছিলাম রাজধানী ঢাকার মিরপুর-১২ নম্বরের মারকাযুদ দাওয়া আল-ইসলামিয়ায়।
প্রতি মাসের বিশেষ আয়োজন মুহাযারা শেষে মারকাযুদ দাওয়ার আমীনুত তা’লীম তথা শিক্ষাসচিব মাওলানা আবদুল মালেক বিশ্রামে বসেছেন।
সামনে গিয়ে সালাম মোসাফাহা করে বসে পড়ি। সমাজে ইসলাম শিক্ষার ব্যাপক প্রচার-প্রসার এবং কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি নিয়ে সমসাময়িক কিছু জিজ্ঞাসা ও অভিব্যক্তি জানতে চাই। শায়খ সেটা জেনেই বলতে শুরু করলেন, ‘আদার ব্যাপারীর কাছে জাহাজের খোঁজ-খবর নিতে এসেছেন!’
বললাম আওয়ার ইসলাম কওমি সনদের স্বীকৃতি বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে শীর্ষস্থানীয় আলেমদের মতামত তুলে ধরছে সে জন্যই আপনার কাছে আসা।
শায়খ বললেন, সেই ধারাবাহিকতার সনদে ইনকেতা’ হয়ে গেল। তারপর শায়খ অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলেন।
মারকাযুদ দাওয়ায় খোঁজ নিয়ে জানা গেলো শায়খ আলেমদের মধ্যে মতবিরোধপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে চলতে পছন্দ করেন। এসব বিষয় নিয়ে তিনি সাক্ষাৎকার দিতে খুব একটা আগ্রহী নন।
কী আর করা! আমিও ডানা ভাঙা পাখির মতো ব্যর্থ মনোরথে ফিরে এলাম।
এক্টিভ থাকুন: আওয়ার ইসলাম
আরআর