বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


বেফাকের মাধ্যমে স্বীকৃতি দিলে কোনো প্রশ্ন থাকবে না -আল্লামা মোস্তফা আজাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

mostofa-azad-copyমোস্তফা ওয়াদুদ : আজ আনুষ্ঠানিকভাবে কওমী সনদের প্রজ্ঞাপন জারী করেছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এই প্রজ্ঞাপন পকাশ করা হয়। এতে স্বীকৃতি বাস্তবায়নের লক্ষে  ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এতে আহবায়ক হিসেবে আছেন আল্লামা ফরিদউদ্দীন মাসউদ। দেশের একাংশের শীর্ষ কয়েকজন আলেমকে বাদ দিয়ে গঠিত কমিটির পক্ষে বিপক্ষে হচ্ছে আলোচনা-সমালোচনা। কেউ স্বাীকৃতি আদায় করার জন্য মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ এর প্রশংসা করছেন। কেউবা বলছেন ওলামায়ে কেরামের শর্ত যথাযাথভাবে না মেনে স্বীকৃতি ততটা কল্যাণ বয়ে আনবেনা। বিষয়টি নিয়ে মতামত জানতে যোগাযোগ করা হয় আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামীম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আল্লামা মোস্তফা আজাদের সাথে।
নতুন কমিটির ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কওমী মাদরাসায় অতীতে অনেক নগ্ন থাবা পড়েছে। এখনো পড়ছে। তবে কেউ যদি আমাদের স্বকীয়তা রক্ষা করে সরকার থেকে স্বীকৃতির মঞ্জুরি নিতে পারে। এটা আশাব্যাঞ্জক। কমিটির ব্যাপারে তিনি এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এদিকে সরকার কর্তৃক জারীকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কেউ যদি কমিটিতে নতুন করে আসতে চান। তার সুযোগ রয়েছে। এমন প্রক্ষিতে আপনি কি কমিটিতে যাবেন? আল্লামা মোস্তফা আজাদ বলেন, যাওয়া না যাওয়া ডিফেন্ট করবে স্বকীয়তা রক্ষার উপর। আমাদের কথা হচ্ছে, আমরা সরকারকে বারবার বলে আসছিলাম যে, আমাদেরকে সরকারী স্বীকৃতি দেয়া হোক। এখন সরকার নিজে থেকে ডেকে কমিশন তৈরি করে স্বীকৃতি দিতে চাচ্ছে। কিন্তু আমরা পিছু হটেছি। কেননা আমাদের সিলেবাস, পাঠ্যসূচি ও ভাবধারা রক্ষার শর্ত দিলে সরকার তা বাস্তবায়নের আন্তরিকতা দেখায়নি। বরং তারা নিজেদের মতো করে স্বীকৃতি দিতে চেয়েছে। এখন যদি সরকার আমাদের পুরনো শর্তকে মেনে স্বীকৃতি দেয়। তাহলে আমাদের নারাজীর কোনো কারণ নেই। এখন ভেবে দেখতে হবে সরকার কি আমাদের শর্তানুযায়ী স্বীকৃতি দিচ্ছে? নাকি নিজেদের মতো করে স্বীকৃতির রশি ঝুলিয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে আমি যেটা মনে করি, দেশের শীর্ষ আলেমদের মাধ্যমে ফোরাম তৈরি করে আমাদের মতো করে স্বীকৃতি দিলে আমাদের জন্য মঙ্গল হবে। দেশের জন্য মঙ্গল হবে। নতুন প্রজন্মের জন্য ভালো হবে। সরকারের জন্য অনেক সুবিধা বয়ে নিয়ে আসবে। তাই বেফাককে কোনো ভাবেই উপেক্ষা করা কারো জন্য ততটা কল্যাণ বয়ে আনবেনা। কারণ দেশের অধিকাংশ মাদরাসাই বেফাকের অধীন। পাঠ্যসূচিও প্রণয়ন করে বেফাক। বেফাকের মাধ্যমেই পরিচালিত হয়ে আসছে দেশের কওমী মাদরাসা। তাই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে বেফাককে ফলো করাই ভালো হবে বলে মনে করি । নতুন প্রজন্ম স্বীকৃতি চায়। এ প্রজম্মের জন্য কি আপনাদের করার কিছু নেই? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা নতুন প্রজন্মের হিতাকাঙ্খী। তাদের কল্যাণ আর মঙ্গল হোক এটাই চাই আমরা। তবে কোন পথে কিভাবে স্বীকৃতি নিলে তাদের মঙ্গল হবে। সুবিধা হবে। সেটাই ভাবছি আমরা।
এফএফ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ