সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ : টঙ্গির তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমার আদলে এবারো বাংলাদেশের ৩২টি জেলায় অক্টোবর মাস থেকে বিভিন্ন তারিখে জেলাভিক্তিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ব ইজতেমার ভিড় কমাতে এবং স্থানীয় পর্যায়ে তাবলীগের কাজ কে গতিশীল করার লক্ষে ঢাকার কাকরাইল মার্কাজ মসজিদের তত্বাবধানে এসব আঞ্চলিক ইজতেমা অনুষ্টিত হয়ে থাকে।
যে সব জেলাতে ইজতেমা অনুষ্টিত হবে, সেসব জেলাতে এখন থেকেই বিভিন্ন জোড় ও বিশেষ পরামর্শ সহ নানান কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। কোন কোন জেলাতে মাট তৈরির কাজ আরম্ভ হয়ে গেছে। বিশেষ মেহনতের জামাত প্রতিদিন বের হচ্ছে। ইজতেমাকে ঘিরে বিভিন্ন তবকা (স্তরের) জোড় ও গাশত চলছে। প্রসাশন, সাংবাদিক, ব্যাবসায়ী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, পেশাজিবী, গোরাব সহ সকল স্তরের লোকদের কাছে দাওয়াত চলছে। এসব ইজতামতে কোন প্রকার চাঁদা কালেকশন,কিংবা বাহ্যিক প্রচারনা, লিপলেট পোষ্টার, ব্যনার মাইকিং সহ আধুনিক প্রচার যন্ত্র ব্যবহার করা হবে না।
গত বছর যে ৩২টি জেলা টঙ্গি ইজতেমার দুই পর্বে যে কোন একটিতে অংশ নিয়েছিলেন তারা এবার নিজ জেলাতে তিনদিন ব্যাপি ইজতেমা পাচ্ছেন। অপরদিকে গত বছর যে সব জেলাবাসী নিজ জেলা ইজতেমাতে অংশ নিয়েছিলেন তারা ১৬টি জেলায় কাকরাইলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভক্ত হয়ে টঙ্গির বিশ্ব ইজেতামার দুই পর্বে অংশ নিবেন।
এছাড়া প্রত্যেক জেলা মার্কাজের আজাইম (খুরুজ পরিকল্পনার) ভিত্তিতে জেলা ইজতেমা ফায়সালা করেছেন আলমী শুরার পরার্মশে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আহলে শুরা। ইজতেমায় মুসল্লীদের জনসমাগমেরর চেয়ে আল্লাহর রাস্তায় বাহির হওয়াকে প্রধান্য দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলা ইজতেমার পূর্বেই নিদৃষ্ট পরিমান (শতাধিক) জামাত বের করতে হবে।
জেলা ইজতেমা বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি জেলার জিম্মাদার সাথীদের কাকরাইল নিয়ে গিয়ে বড়রা বিশেষ মোজাকারা করেছেন। দিনে ঘর ঘর ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি দাওয়াতের মেহনত, আর রাতে লম্বা নামাজ ও জায়নামাজে বসে রোনাজারি করার প্রতি জোর দিয়েছেন। দিনে বান্দাকে আল্লাহর দিকে ডাকা আর রাতে আল্লাহকে বান্দার দিকে ডাকা। ইজতেমা কোন সমাবেশের নাম নয়, মেহনত করতে করতে কিছু লোক একত্র হবে, আবার কিছু লোক মেহনতের জন্য এখান থেকে বের হবে। ইজতেমার মূল মাকসাদ বান্দাদের আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরি করে দেয়া। তার আগে ইজতেমার আযোজক ও কর্মিদের আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ও তায়াল্লুক মা'আল্লা ঠিক করতে হবে, বলে বার বার মোজাকারা করা হচ্ছে। তাই প্রথমে আমাদেরকে সেদিকে মনোযোগী হওয়া প্রযোজন। সম্পর্ক ঠিক হয়ে গেলে পেরেশানী ছাড়া ইজতেমার ইন্তেজাম হয়ে যাবে। আল্লাহর খাজানা পক্ষে চলে আসবে। আসমান থেকে গায়বী মদদ নামতে শুরু করবে।
যে ক’টি ‘জেলা ইজতেমা’র তারিখ পাওয়া গেছে তা নিচে দেয়া হল।
ঝিনাইদহ -ডিসেম্বর ১৪-১৫-১৬, ২০১৬ইংরেজি
ভোলা -ডিসেম্বর ২৯-৩০-৩১, ২০১৬ইংরেজি
সিলেট -ডিসেম্বর ২৯-৩০-৩১.২০১৬ইংরেজি
ফেনী -ফেব্রুয়ারী ১৬-১৭-১৮. ২০১৭ইং
চট্রগ্রাম -ডিসেম্বর ২২-২৩-২৪. ২০১৬ইং
গাইবান্ধা -অক্টোবর ২৭-২৮-২৯. ২০১৬ইং
নেত্রকোনা -জানুয়ারী ২৬-২৭-২৮. ২০১৭ইং
ফরিদপুর -জানুয়ারী ৫-৬-৭. ২০১৭ইংরেজি
জামালপুর -ডিসেম্বর ২২-২৩-২৪. ২০১৬ইং
মাগুরা -জানুয়ারী ৫-৬-৭. ২০১৭ইংরেজি
খুলনা -ফেব্রুয়ারী ৯-১০-১১. ২০১৬ইং
নরসিংদি -অক্টোবর ২৬-২৭-২৮. ২০১৬ইং
নারায়ণগণ্জ -নভেম্বর ১৭-১৮-১৯. ২০১৬ইং
বগুড়া -নভেম্বর ২৪-২৫-২৬. ২০১৬ইং
নীলফামারি -ফেব্রুয়ারী ১৬-১৭-১৮. ২০১৭ইং
সিরাজগণ্জ -ডিসেমম্বর ১৫-১৬-১৭. ২০১৬ইং
মাদারীপুর -ডিসেম্বর ১৫-১৬-১৭. ২০১৬ইং
নাটোর -ফেব্রুয়ারী ২৩-২৪-২৫. ২০১৭ইং
পিরোজপুর -ফেব্রুয়ারী ১৬-১৭-১৮. ২০১৭ইং
লক্ষিপুর -নভেম্বর ২৩-২৪-২৫. ২০১৬ইং
কুমিল্লা -ডিসেম্বর ২৯-৩০-৩১. ২০১৬ইং
পটুয়াখালী -ফেব্রুয়ারী ২-৩-৪. ২০১৭ইং
রাজশাহী - আক্টেবর ২০,২১,২২, ১৬ইং
ভাউপাল -নবেম্বর ২৭,২৮,২৯। ২০১৬ইং
এফএফ