শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


অল্প কিছু ব্যক্তি ছাড়া সবাই এখন স্বীকৃতির পক্ষে: মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

yeahea-mahmudরোকন রাইয়ান: কাল রবিবার কওমি সনদের স্বীকৃতির দাবিতে ডিআরইউতে সংবাদ সম্মেলন করবে কওমী শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে সংগঠনটি।

কওমী শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ আহূত এই সংবাদ সম্মেলন আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ রবিবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত হবে। স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্যসচিব প্রখ্যাত আলেম মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমূদ গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। সংবাদ সম্মেলণে দেশের প্রখ্যাত আলেম, বুদ্ধিজীবী ও স্কলারগণ উপস্থিত থাকবেন।

ঈদের আগে শোনা গিয়েছিল স্বীকৃতি বিষয়ে সবকিছু প্রস্তুত এবং ঈদের পর পরই তা চূড়ান্ত হবে। কিন্তু ঈদের পর আবার স্বীকৃতির দাবিতে সম্মেলন কেন এবং স্বীকৃতি প্র্রক্রিয়া কোন পর্যায়ে রয়েছে বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা হয় স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিব মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমূদের সঙ্গে। বিষয়টি নিয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমূদ বলেন, আমরা সারাদেশ ঘুরে স্বীকৃতি প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছি। জনমত নিয়েছি। সামান্য কিছু মানুষ ছাড়া সবাই আমাদের পক্ষে রয়েছেন। স্বীকৃতি চাচ্ছেন। আর স্বীকৃতির বিষয়টি এখন ‘মন্ত্রী সভার বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে এখন শুধু সংসদে উঠবে’ এ অবস্থায় রয়েছে।

তিনি বলেন, স্বীকৃতির জন্য আমরা দীর্ঘ সময় সারাদেশে সফর করেছি। বড় বড় মাদরাসা ও আলেম ওলামাদের কাছে গিয়েছি। আমাদের সফরের হাল হাকিকত সাংবাদিকদের জানানো এবং সরকারকে স্বীকৃতির ব্যাপারে প্রেশার ক্রিয়েট করার জন্যই আগামীকালের সংবাদ সম্মেলন।

শোনা যাচ্ছে কওমি’র বোর্ডগুলো আপনাদের সঙ্গে নেই এবং বিপরীত মতে রয়েছে তো এ অবস্থায় স্বীকৃতি কিভাবে সম্ভব? জানতে চাইলে মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমূদ বলেন, আমাদের মতের বিপরীতে রয়েছেন এটা ঠিক নয়। আমরা সারাদেশে ঘুরেছি অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে তারা একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। যেমন চট্টগ্রামের বোর্ড ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর সেক্রেটারী জেনারেল আল্লামা আবদুল হালিম বোখারী’র সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে, তিনি আমাদের এই স্বীকৃতির প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং পূর্ণ সহমত প্রকাশ করেছেন।

স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ খুব তাড়াহুড়ো করে গঠিত হয়েছে এবং এখানে ঢাকার বিশিষ্ট আলেমরা নেই এটি নিয়ে লোকমুখে অনেক কথাই শোনা যাচ্ছে। তো পরিষদটা একমুখী হলো কী কারণে? এ বিষয়ে মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমূদ বলেন, এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনো সংগঠন নয়, বরং স্বীকৃতির জন্য অনেক সংগঠন রয়েছে, শিক্ষা কমিশন করা হয়েছিল গত টার্মে সেখানে সবাই আছেন। আমরা আসলে পরিষদ করেছি একটা নিশ্চল জিনিসকে জাগানোর জন্য। এখানে না থাকাটা বড় ব্যাপার নয়।

সরকারের কাছের লোক হিসেবে পরিচিতি গওহরডাঙ্গা বোর্ডের চেয়ারম্যান মুফতি রুহুল আমিনও আপনাদের সঙ্গে নেই এমনকি সবাই বিষয়টি নিয়ে এত আলোচনা করলেও তিনি নিশ্চুপ, অথচ আগে তিনি বেশ সরব ছিলেন স্বীকৃতি বিষয়ে। এর কারণ কী? জানতে চাইলে মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমূদ বলেন, আসলে আমাদের এখনকার স্বভাব হলো আমি নিজে যখন গুরুত্ব পাবো তখনই এটাতে সরব দেখা যায়। অন্যেরা করলে উৎসাহও দেই না। এটিই মূলত সমস্যা।

এইচএ


সম্পর্কিত খবর