শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


ইসলামি রাজনীতিতে জ্ঞানার্জনের আগ্রহ বৃদ্ধি পায় ।। ইসলামকে সাহাবাযে কেরামের ঔদার্যে উপস্থাপন করতে পারিনি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

0urislam-ewyনূরুল ইসলাম আল-আমীনশেখ ফজলুল করীম মারুফ। প্রথম জন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি। দ্বিতীয় জন সাধারণ সম্পাদক। দুইজনই নিরলসভাবে কাজ করছেন ইশা ছাত্র আন্দোলন নিয়ে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনীতি, দায়বদ্ধতা ও পড়ালেখা ইত্যাদির বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করে চলেছেন। ছাত্র রাজনীতিকে কেউ কেউ পড়ালেখার প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখেন। আবার ছাত্র বেলাতেই রাজনীতির আবশ্যকিয়তা খুঁজে বের করেন কেউ কেউ। সর্বপরি ইসলামী ছাত্র রাজনীতিগুলো হাল চাল কী এ বিষয়ে আজ নেয়া হলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের যৌথ সাক্ষাৎকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আওয়ার ইসলামের বিশেষ প্রতিনিধি মোস্তফা ওয়াদুদ
>
আওয়ার ইসলাম: ছাত্র রাজনীতিতে কিভাবে এলেন?
নূরুল ইসলাম আল-আমীন: ছোট বেলায় ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর দাওয়াত পাই। দীন কায়েম এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে নিজেকে পরিচালনা করা যাবে এই প্রত্যাশায়ই মূলত ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর সাথে সম্পৃক্ত হই।
শেখ ফজলুল করীম মারুফ: আমার বাবা আশির দশকের শুরু থেকেই কুতুবুল আলম সাইয়্যেদ ফজলুল করীম পীর সাহেব চরমোনাই রহ. এর আধ্যাত্মিক অনুসারী ছিলেন। আমার নামও শায়খ রহ. কর্তৃক রাখা হয়েছিল। সে কারণে আমি জন্মগতভাবে এই বিপ্লবী ধারার সাথে সম্পৃক্ত। হেফজ খানায় পড়াকালীন সময়েই আমি ইশা ছাত্র আন্দোলন-এর অর্থ সম্পাদকে দায়িত্ব পালন করেছি। তবে ২০০৩ সালে যখন জামেয়া শারইয়্যাহ মালিবাগে পড়াশোনা করি তখন দর্শনগত কিছু ক্ষেত্রে আমি ইশা ছাত্র আন্দোলন থেকে নিস্ক্রীয় হয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু অধিকতর পড়াশোনা, ইসলামী রাজনীতির গতিপ্রকৃতি অনুধাবনের ফলে আবারো সক্রিয় দায়িত্ব পালন শুরু করি।
>
আওয়ার ইসলাম: এ পর্যন্ত কখন কোন কোন দায়িত্ব পালন করেছেন?
নূরুল ইসলাম আল-আমীন: ১৯৯৭ সালে সদস্য হওয়ার পর বাকেরগঞ্জ উপজেলার সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। চরমোনাই আহছানাবাদ রশিদিয়া কামিল মাদরাসা ১০ শ্রেণির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, আলিম শ্রেণির অর্থ সম্পাদক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ফাজিল শ্রেণির সভাপতি, মাদরাসা শাখার প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালনের পর ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ২০১১ সেশনে কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক, ২০১২ সেশনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১৩ সেশনে জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল, ২০১৪ সেশনে ১ সেক্রেটারি জেনারেল, ২০১৫ ও বর্তমান ২০১৬ সেশনে মুহতারাম আমীর কর্তৃক কেন্দ্রীয় সভাপতি মনোনীত হয়ে দায়িত্ব পালন করছি।
শেখ ফজলুল করীম মারুফ : হেফজ খানায় পড়াকালীন অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। এরপরে চট্টগ্রামের জামিয়া দারুল মাআরিফে পড়াকালীন জামেয়া শাখার এবং চাদ্দগ্রাও থানা শাখার বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করি। এরপরে জামেয়া শারইয়্যাহ মালিবাগে পড়াশোর সময় ২০০৩-০৬/৩ সেশনে জামেয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক, খিলগাঁও থানা শাখার দায়িত্ব পালন করি। এরপরে ২০০৭ ও ২০০৮ সেশনের জুন পর্যন্ত বাগেরহাটে মংলা থানায় বিশেষ দায়ীর দায়িত্ব পালন করি। ২০০৮ সেশনে রামপুরা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক, ২০০৯ সেশনের শুরুতে ঢাকা মহানগর পূর্বের ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক, জুন থেকে ঢাকা মহানগর পূর্বের প্রশিক্ষণ সম্পাদক, ২০১০ সেশনে ঢাকা মহানগর পূর্বের যুগ্ম সম্পাদক, ২০১১ সেশনে মহনগর পূর্বের সাধারণ সম্পাদক, একই সময় কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য, ২০১২ সেশনে কেন্দ্রীয় মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক, ২০১৩ সেশনে কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক ২০১৪ সেশনে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১৫ ও ২০১৬ এ দুই সেশনে সেক্রেটারি জেনারেল এর দায়িত্ব পালন করছি।
alamin3
>
আওয়ার ইসলাম: মৌকিলভাবে আপনাদের কার্যক্রমগুলো কী কী?
নূরুল ইসলাম আল-আমী : আপনি জেনে থাকবেন আমাদের ৫টি কর্মসূচি। এই কর্মসূচির আলোকে আমরা আমাদের নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমাদের সংগঠন ছাত্রদের জ্ঞানার্জনের বিষয়টিকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দিযে থাকে। সেজন্য আমাদের প্রথম কর্মসূচি জ্ঞানার্জন ও প্রশিক্ষণ। দেশের ত্রি-ধারার শিক্ষাব্যবস্থা কওমি, আলিয়া ও জেনারেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। আপনারা লক্ষ্য করেছেন শিক্ষার্থী ও জাতীয় স্বার্থ যখনি বিঘ্নিত হয়েছে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলেছি। ছাত্রদের কল্যাণে শিক্ষা-চিকিৎসা সহায়তা, পথশিশুদের কুরআন শিক্ষাসহ মানবকল্যাণে আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমরা মনে করি, আল্লাহর রাসূল সা. যেভাবে নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে সেভাবে নিয়মতান্ত্রিক ও ধারাবাহিক কর্মসূচি ব্যতিত সফল বিপ্লব সম্ভব নয়।
শেখ ফজলুল করীম মারুফ : আমাদের কার্যক্রমের মূলনীতি হলো, অব্যহত শক্তি অর্জন ও প্রয়োজন মতো শক্তিপ্রদর্শন। দেশের প্রতিটি প্রশাসনিক অংশ, জেলা, থানা, উপজেলা, ইউনিয়নে কমিটি গঠন করা, স্কুল-কলেজ, আলিয়া মাদরাসা, কওমিয়া মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কমিটি গঠন, কমিটি সক্রিয় রাখা, তাদের মাধ্যমে দাওয়াত ও জনসংগঠন গড়ে তোলার কার্যক্রম রয়েছে। একই সাথে আমাদের জনশক্তিতে চারটি স্তরে বিভক্ত করে তাদের মান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। দেশের যেকোন সংকটে, দেশ বিরোধী বিভিন্ন সরকারি পদক্ষেপের মোকাবলায় আমরা মাঠে আন্দোলন গড়ে তুলেছি। ছাত্রদের বিভিন্ন স্বার্থ রক্ষায় আন্দোলন করছি। শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবীদের সাথে মতবিনিময় করা, বিভিন্ন দুর্যোগে দেশবাসীর পাশে দাঁড়ানো, বিভিন্ন সমসামিয়ক ইস্যুতে গবেষণামূলক প্রবন্ধ, পুস্তিকা, লিফলেট প্রকাশ, সেমিনার, লোকবক্তৃতা প্রকাশ করা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। আপনারা নিশ্চয় জানেন, আমাদের একটি গবেষণামূলক দ্বিমাসিক ‘ছাত্র সমাচার’ এবং মাসিক ‘নকীব’ নামে একটি শিশু কিশোর পত্রিকা প্রকাশ করা হয়। ছাত্রকল্যাণ বিভাগের অধিনে বিভিন্ন মামলা পরিচালনা, চিকিৎসা সহায়তা, শিক্ষা সহায়তা করা আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। এছাড়াও জাতির প্রয়োজনে সবসময় আমরা পাশে আছি।
>
আওয়ার ইসলাম: সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের ব্যানারে আপনারা আছেন। তো কার উদ্যোগে গঠিত হলো এটা?
নূরুল ইসলাম আল-আমীন : শিক্ষা আইন- ২০১৬ প্রকাশের পর শিক্ষা আইনের অসংগতিগুলো সামনে আসলে আমরা আন্দোলন করি। একপর্যায়ে সমমনা ছাত্র সংগঠনগুলো এই বিষয়ে একটি মতবিনিময়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের জন্য একমত পোষণ করে। সকল ছাত্র সংগঠনের আন্তরিকতার ভিত্তিতেই আসলে।ছাত্র ঐক্য গঠিত হয়েছে।
শেখ ফজলুল করীম মারুফ : শিক্ষানীতি নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর মাঝে একটা সংঘবদ্ধ আন্দোলন-এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ছিলো। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের অফিসে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় এর ধারাবাহিকতায় তারিখ মনে নাই- ছাত্র মজলিসের অফিসে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় ঐক্যের।ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। এবং দলসমূহের সেক্রেটারি জেনারেলদের সমন্নয়ে ঐক্যের রূপরেখা নির্ধারণ করার জন্য একটা কমিটি করা হয়। আমাকে সেই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। আমাদের অফিসে দীর্ঘ বৈঠক করে আমরা এর রূপরেখা চূড়ান্ত করি। এরপরে দলীয় সভাপতিরা বৈঠকে বসে ঐক্যের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
>
আওয়ার ইসলাম: ভার্সিটিতে আপনাদের কার্যক্রম আছে নাকি মাদরাসায় সীমাবদ্ধ?
নূরুল ইসলাম আল-আমীন : ছাত্র আন্দোলন শুধু মাদরাসাভিত্তিক কোন সংগঠন নয় বরং শিক্ষার সকল ধারায়ই আমাদের কার্যক্রম দৃশ্যমান।
শেখ ফজলুল করীম মারুফ : ইশা ছাত্র আন্দোলন দেশের ত্রিধারা শিক্ষাব্যবস্থার শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফরম। আমাদের কেন্দ্রীয় আমেলার নেতৃবৃন্দের দিকে তাকালে দেখা যাবে কেউ কওমিয়া মাদরাসা থেকে কেউ আলিয়া থেকে কেউবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উঠে আসা। আল্লাহর রহমতে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের জোরালো কাজ রয়েছে। কৌশলগত কারণে যদিও আমরার ক্যাম্পাসে মহড়া থেকে বিরত রয়েছে। কামিল মাদরাসা ও দাওরা হাদিস মাদরাসাসমূহে আমরা আল্লাহর রহমতে শক্তিশালী অবস্থান নিতে পেরেছি।
>
আওয়ার ইসলাম : বাংলাদেশে ইসলামকে অনিরাপদ বলা হয় রাজনৈতিক দল থেকে। এর কারণ কী মনে করেন?
নূরুল ইসলাম আল-আমীন : অনিরাপদ বলতে ইসলামের উপর বিভিন্ন সময় আঘাত আসে। এর মূল কারণ হলো, ইসলামকে পরিপূর্ণভাবে পালনের মানষিকতা বাংলাদেশের মানুষের না থাকা। বস্তুবাদি মানষিকতা মানুষকে অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক করে ফেলেছে। আর আমরা ইসলামপন্থিরাও মানুষের কাছে পরিপূর্ণ ইসলামকে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছি।
শেখ ফজলুল করীম মারুফ : ইসলামকে জনমানুষের মুক্তির পয়গাম হিসেবে তুলে ধরতে না পারার কারণেই ইসলাম অনিরাপদ। ইসলামের দার্শনিক রূপকে ফুটিয়ে তোলা যায়টি। আধ্যাত্মিক দিককে কলুষিত করা হয়েছে, রাজনৈতিক দিকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। ইসলামকে সামগ্রিকভাবে উপস্থাপন করা যায়নি। ৯২ ভাগ মুসলমান হলেও ইসলামের সামগ্রিক দিককে অনুধাবন করে তাকে মান্য করেন এমন মুসলমান কতজন তা প্রশ্নের ব্যাপার। অনৈক্য বিশাল সমস্যা। ইসলামের খুটিনাটি বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি ও অন্যতম কারণ। এককথায় বলতে গেলে আমরা ইসলামকে সাহাবাযে কেরামের ঔদার্যে আর কুশলতায় উপস্থাপন করতে পারি নি।
>
আওয়ার ইসলাম : ইসলামী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের মধ্যে একে অপরে বেশ বিরোধ লক্ষ করা যায়, কারণ কী?
নূরুল ইসলাম আল-আমীন : বিরোধ বলতে কর্মপদ্ধতিগত কিছু ভিন্নতা ছাড়া বড় ধরনের কোন বিরোধ নেই। যদি শত্রুতামূলক বিরোধই থাকত তাহলে ছাত্র ঐক্য গঠন ও একত্রে আন্দোলন সম্ভব হতো না।
শেখ ফজলুল করীম মারুফ : আমরা ইশা ছাত্র আন্দোলন কারো প্রতি কোন বিরোধমূলক মনোভাব পোষণ করি না। বরং সকলকে সম্মানও মর্যাদার সাথে বিবেচনা করি। আমরা তো বলি-ই প্রচলিত দল কেন্দ্রীক মানসিকতা না বরং ঐক্য প্রয়াসি আন্দোলন।
>
আওয়ার ইসলাম : ছাত্র ঐক্য যে ছোট ছোট প্রোগ্রাম করছে তাতে কি শিক্ষানীতি পরিবর্তন করানো সম্ভব?
নূরুল ইসলাম আল-আমীন : ছাত্র ঐক্যের বিগত ও চলমান কর্মসূচিগুলোর মাধ্যমে আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছি। জনগণ যদি একবার জেগে ওঠে তাহলে সরকার আমাদের দাবি মানতে বাধ্য হবেই।
শেখ ফজলুল করীম মারুফ : ছাত্র ঐক্য এদেশে আন্দোলন এর যে ধারা তৈরি করেছে, সে সৌহার্দ আর সম্প্রীতির সূচনা করেছে তাতে সফলতা আসবেই আজ হোক বা কাল।
>
আওয়ার ইসলাম : সর্বপরি ছাত্র রাজনীতি কতটা সঠিক, ছাত্রদের তো সবার আগে জ্ঞানে সমৃদ্ধ হওয়া জরুরি। রাজনীতিতে এলে সেটা তো ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নূরুল ইসলাম আল-আমীন : হ্যাঁ, বস্তুবাদি রাজনীতিতে জ্ঞানার্জন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ইসলামী রাজনীতিতে জ্ঞানার্জনের আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পায়। কারণ ইসলামী রাজনীতিতে এসে সে বাস্তবতা ও জ্ঞানার্জনের অত্যাধিক প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। ফলে সে অযথা সময় নষ্ট না করে জ্ঞানার্জনে আরো বেশি মনোনিবেশ করে।
শেখ ফজলুল করীম মারুফ : আদর্শিক ছাত্র রাজনীতি জ্ঞানের পথে বাধা না। বরং জ্ঞান অর্জনের সহায়ক। যারা আদর্শিক ছাহত্র রাজনীতি আরা জ্ঞানকে সাংঘর্ষিক মনে করেন তারা ছাত্র রাজনীতি ও জ্ঞানের অর্থই অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছেন।
>
আওয়ার ইসলাম : দেশ-জাতি ও ছাত্রসমাজের উদ্দেশে কিছু বলুন।
নূরুল ইসলাম আল-আমীন : আমরা মুসলমান। আমাদের নবী সা. এর আদর্শই শ্রেষ্ঠ আদর্শ। তাই ছাত্র-জনতা সকলকে বলব আসুন, আমাদের নবীর আদর্শকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে গ্রহণ করে নিজের জীবন ও মানবতার সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করি।
শেখ ফজলুল করীম মারুফ : দেশ- জাতি ও ছাত্র সমাজের প্রতি একটি আবেদন হলো, আসুন নিজেদের মধ্যে সকল বিভেদ ভুলে খেলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াত প্রতিষ্ঠা করি। সাহাবায়ে কেরামের ব্যকুলতা নিয়ে ইসলামী আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ি।
>
আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ