শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


কুরবানিকে নিরুৎসাহিতকারীদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

pir_shahebআওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, অন্য বারের মতো এবারও আল্লাহর মেহমান হাজীদের সীমাহীন কষ্ট পোহাতে হয়েছে। নিবন্ধন, বাড়ি ভাড়া, ভিসা, টিকেট ও ফ্লাইটে ওঠা পর্যন্ত অধিকাংশ হজযাত্রীকে এত অনিশ্চয়তা ভোগান্তি হয়রানি সহ্য করতে হয়েছে যার নজির দুনিয়ার কোথাও নেই। এমনকি অতীতে বাংলাদেশেও ব্যাপকভাবে প্রায় সকল হজযাত্রীর এভাবে নাস্তানাবুদ হওয়ার ঘটনা দেখা যায় না। এ বিষয়ে চিন্তাশীল মহল মন্তব্য করেছেন, একশ্রেণির নাস্তিক-মুরতাদ মহান ইসলাম ও মুসলমানদের পবিত্র ইবাদত হজের প্রতি বিদ্বেষ থেকেই কৌশলে প্রতিটি জায়গায় ইচ্ছাকৃতভাবে বিপত্তি সৃষ্টি করেছে; যেন মানুষ হজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

তিনি বলেন, সরকারের ভেতর ঘাপটি মেরে থাকা ইসলামবিদ্বেষী শক্তির কূটচালেই হজযাত্রীদের এ দুরাবস্থা। আশা করি প্রধানমন্ত্রী নিজে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। প্রয়োজনে হজ-সংক্রান্ত অফিসগুলো ইসলামপ্রিয় কর্মকর্তাদের দিয়ে ঢেলে সাজাবেন। যেন পবিত্র হজ্ব নিয়ে কোন চক্রান্তকারী চক্রান্ত করতে না পারে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, মুসলমানদের ওয়াজিব ইবাদত কুরবানি নিয়েও কতিপয় ইসলামবিদ্বেষী লোক অহেতুক নেতিবাচক ও তিক্ত বাতাবরণ তৈরি করতে সচেষ্ট রয়েছে। জীবনভর চলে আসা এ ধর্মীয় অনুষ্ঠানটির কঠোর সমালোচনা ও ছিদ্রান্বেষণে তারা সারা বছরই বগল বাজিয়ে চলেছেন।  কুরবানির বর্জ্য প্রতিটি পরিবার নিজ উদ্যোগে অপসারণ করে থাকেন। বর্জ্য কেউ যত্রতত্র রক্ত ও বর্জ্য ফেলে রাখে না। তারপরও কুরবানির মতো ইবাদতকে কেউ নিরুৎসাহিত ও বাধাগ্রস্ত করতে চাইলে তাদের চিহ্নিত করা প্রয়োজন।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ