শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


৭১এর প্রথম সেনা বৈঠকের প্রধান উদ্যোক্তা মাওলানা আছাদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

asadসৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ; আওয়ার ইসলাম

একাত্তরের ৪এপ্রিল একমাত্র সেনা সমাবেশের অন্যতম প্রধান উদ্দ্যোক্তা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর কিংবদন্তি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মাওলানা আছাদ আলী। বঙ্গবন্ধুর মতোই তাঁর সহচর আর ঘনিষ্ট কিছু নেতা ছিলেন দুঃসাহসিক। দেশপ্রেমের গভীর মন্ত্রে উজ্জিবিত। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে ৭১এর মুক্তিযুদ্ধে তাদের একেকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিসংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যান। তাদের একজন দুঃসাহসিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা আছাদ আলী এমএলএন।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কাল রাত্রিতে আকস্মিক হানাদারদের বর্বর হামলার পর বাংলাদেশের অবস্থা যখন টালমাটাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মিজিবুর রহমানকে পাকিস্তান কারাগারে ধরে নিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। বড় বড় রাজনৈতিক নেতারা ভয়ে আত্মগোপনে। প্রতিরোধের কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি তখন ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৪ এপ্রিল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের বাংলোতে সারা দেশ থেকে গোপনে একত্র হয়ে দেশের র্শীষ সেনা অফিসারগণ একজন প্রখ্যাত আলেম রাজনৈতিক ও মুক্তিযোদ্ধের কিংবদন্তির বীর সেনানী হবিগঞ্জের মাওলানা আছাদ আলী এমএলএনকে নিয়ে একগুরুত্তপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন। তেলিয়াপড়া ডাক বাংলাকে মুক্তিযোদ্ধের প্রধান সদর দপ্তর বানিয়ে অনুষ্টিত হয় এক ঐতিহাসিক সেনা সমাবেশ। এখানের সেনা বৈঠকের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। এ বৈঠকেই সেনা কর্মকর্তাগণ দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশলী ঠিক করেন এবং দায়িত্ব বণ্টন করেন। এই বৈঠকেই প্রবাসী অস্হায়ী সরকার গঠনসহ স্বাধীন বাংলাদেশের রূপরেখা প্রথম অংকিত হয়, এই বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকেই ১০এপ্রিল আগরতলায় অস্হায়ী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয় এবং ১৭এপ্রিল কুষ্টিয়ার চুয়াডাঙ্গ বৈদ্যনাথ গ্রামের আমকানে তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্টিত হয়।

এটাই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সিদ্ধান্তমুলক এই সেনা সমাবেশ স্বাধীন বাংলাদেশর ভিত রচনায় মাইল ফলক হয় আছে। এই সেনা সমাবেশে মুত্তিবাহিনীকে মুক্তিফৌজ নামকরণ করা হয়। এই সেনা সমাবেশের শেষে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক আতাউল গণি উসমানী নিজের পিস্তল থেকে ফাঁকা গুলি করে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। মুক্তিফৌজের এই শপত অনুষ্টান ও আনুষ্টানিক যুদ্ধ যাত্রায় ২৭ সেনা অফাসার সহ গুরুত্বপৃণ সমাবেশে যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের কয়েকজন হলেন বঙ্গবীর আতাউল গণি উসমানি, মুক্তিযুদ্ধের উপসর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল এম এ রব, মাওলানা আছাদ আলী এমএলএন, সাবেক সেনা প্রধান মেজর জেনারেল শফিউল্লাহ, মেজর সেনারেল সি আর দত্ত, সাবেক রাষ্টপতি মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর জেনারেল আব্দুল মতিন, মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ, মেজর জেনারেল মঈনুল হোসেন চৌধুরী , মেজর জেনারেল নাসিম, মেজর জেনারেল আইন উদ্দীন মেজর হেলাল মোর্শেদ, লে: সৈয়দ ইব্রাহীম, কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী ভারতীয় বিগ্রেডার পাণ্ড, বিবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক কাজী রাকিব উদ্দিন।(সকল সেনা অফিসার পরবর্তিতে মেজর জেনারেল হয়েছেন) (সূত্র হবিগন্জে মুক্তিযুদ্ধা গ্রন্হ)

৪ এপ্রিল সকালে ১টি জিপ ড্রাইভারসহ আশ্রব আলীকে একজন সৈনিক দিয়ে ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন স্থানীয় এমপি মাওলানা আছাদ আলী। চা শ্রমিকদের দিয়ে জঙ্গল পরিস্কার করে ভারত যাবার রাস্তা তৈরি করেন। সেখানকার সিদাই থানা থেকে এমএজি ওসমানীকে নিয়ে আসার জন্য বিকেলে এসে মাগরিবের নামাজের পর ওসমানী তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বড় বাংলোর ২য় তলায় ২৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিয়ে এক বৈঠকে মিলিত হন। এ বৈঠকেই পুরো রণাঙ্গনকে ১১ টি সেক্টরে ভাগ করেন বঙ্গবীর আতাউল গণি ওসমানী। বৈঠকে রাজনৈতিক আন্দোলন জোরদার, স্বাধীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠন ও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার ওপর গুরত্বারোপ করা হয়। যুদ্ধের রণনীতি রণকৌশল ম্যাপ রচনা করা হয়। ওই বৈঠকে মুক্তিবাহিনীকে প্রথমে মুক্তি ফৌজ হিসাবে নামকরণ করা হয়। পরবর্তী সময়ে তা মুক্তিবাহিনী নামে আত্মপ্রকাশ করে।

যুদ্ধ চলাকালে একাধিকবার মেজর জিয়া রামগড় থেকে ভারত হয়ে তেলিয়াপাড়ায় আসেন। ১ এপ্রিল তেলিয়াপাড়া চা বাগানকে নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে টার্গেট করে বাঙালি সেনাবাহিনী ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্ট হেড কোয়ার্টার স্থাপন করে এখানে। তেলিয়াপাড়ার এ বাংলো থেকেই ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানি নিজের পিস্তলের ফাঁকা গুলি ছুড়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। তেলিয়াপাড়া চা বাগান ম্যানেজার বাংলোটিকে ৪ এপ্রিল থেকে মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ৪এপ্রিলের এই ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ সেনা সমাবেশে সৃষ্টির পেছনে বেসামরিক ব্যক্তি হিসাবে যিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূন ভুমিকা পালন করেন তিনি হলেন দেওবন্দ ফারেগ খ্যাতিমান আলেম রাজনৈতিক মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তির বীর সেনানী, পাকিস্থান জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সংসদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর মাওলানা আছাদ আলী এমএলএন। আর সারা দেশ রেখে শত্রু কবলিত একটি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই জরুরী যুদ্ধ বৈঠক ও সেনা সমাবেশ হয়েছিল হবিগন্জের মাধবপুরে এর পেছনে কারণ ছিল ছিল বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর মাধবপুরের কৃতি সন্তান এই মাওলানার দুঃসাহসিক নেতৃত্ব । তিনি ছিলেন স্হানীয় এমএলএন (এমপি) ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। মেজর জেনারেল আতাউল গনি উসমানীর খুব ঘনিষ্টজন । তার প্রেরণা আর পরামর্শেই মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক মাওলানার বাড়ির পাশে এই তেলিয়াপারা ডাক বাংলাতে এই সেনা বৈঠক আহবান করেন ।

পরবর্তি সময়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সাব সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন । তিনি নিজ খরচে এই বৈঠকে আশা সকল সেনা অফিসারদের দুদিন মেহমানদারী করান । ঐ সামারিক বৈঠকের বেসামরিক ব্যক্তি একাত্তরের এই প্রসিদ্ধ আলেম যিনি পরবর্তিত সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধ করেছেন একাত্তরের সাব সেক্টর কমান্ডারের দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

যুদ্ধ চলাকালে একাধিকবার মেজর জিয়া রামগড় থেকে ভারত হয়ে তেলিয়াপাড়ায় আসেন। ১ এপ্রিল তেলিয়াপাড়া চা বাগানকে নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে টার্গেট করে বাঙালি সেনাবাহিনী ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্ট হেড কোয়ার্টার স্থাপন করে এখানে। তেলিয়াপাড়ার এ বাংলো থেকেই ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল এম এ জি ওসমানি নিজের পিস্তলের ফাঁকা গুলি ছুড়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেন। তেলিয়াপাড়া চা বাগান ম্যানেজার বাংলোটিকে ৪ এপ্রিল থেকে মুক্তিবাহিনীর সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ৪এপ্রিলের এই ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ সেনা সমাবেশে সৃষ্টির পেছনে বেসামরিক ব্যক্তি হিসাবে যিনি সবচেয়ে গুরুত্বপূন ভুমিকা পালন করেন তিনি হলেন দেওবন্দ ফারেগ খ্যাতিমান আলেম রাজনৈতিক মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তির বীর সেনানী, পাকিস্থান জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সংসদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর মাওলানা আছাদ আলী এমএলএন। আর সারা দেশ রেখে শত্রু কবলিত একটি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই জরুরি যুদ্ধ বৈঠক ও সেনা সমাবেশ হয়েছিল হবিগঞ্জের মাধবপুরে এর পেছনে কারণ ছিল ছিল বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর মাধবপুরের কৃতি সন্তান এই মাওলানার দুঃসাহসিক নেতৃত্ব ।

তিনি ছিলেন স্হানীয় এমএলএন (এমপি) ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। মেজর জেনারেল আতাউল গনি উসমানীর খুব ঘনিষ্টজন । তার প্রেরণা আর পরামর্শেই মুক্তিযোদ্ধের সর্বাধিনায়ক মাওলানার বাড়ির পাশে এই তেলিয়াপারা ডাক বাংলাতে এই সেনা বৈঠক আহবান করেন । পরবর্তি সময়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সাব সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন । তিনি নিজ খরচে এই বৈঠকে আশা সকল সেনা অফিসারদের দুদিন মেহমানদারী করান । ঐ সামারিক বৈঠকের বেসামরিক ব্যক্তি একাত্তরের এই প্রসিদ্ধ আলেম যিনি পরবর্তিত সরাসরি সম্মুখ যুদ্ধ করেছেন একাত্তরের সাব সেক্টর কমান্ডারের দ্বায়িত্ব পালন করছেন আর এই বিখ্যাত মাওলানার খাবার খেয়েই একাত্তরের দুঃসাহসিক মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। এতো কিছুর পরেও এই দুঃসাাহসিক আলেম মুক্তিযোদ্ধে আজ পর্যন্ত রাষ্টিয় সম্মাননা পান নি ।

সূত্র: মুক্তিযুদ্ধে হবিগন্জ, মুহাম্মদ সাইদুর রহমান। ভাষা আন্দোলনে হবিগন্জ, তরফদার মোহাম্মদ ঈসমাইল। সিলেটের দুইশত বছরের আন্দোলন,তাজুল মোহাম্মদ। স্বাধীন বাংলার অভ্যুদয় এবং অতঃপর, কামরুদ্দীন আহমদ। মুক্তিযোদ্ধে রইফেলস ও অনন্য বাহিনী, সিকুমার বিশ্বাস। মুক্তিযুদ্ধে হবিগন্জের অকথিত ইতিহাস, মোহাম্মাদ শাহজাহান।

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ