শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


কওমি মাদরাসা জিনিসখান কি?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

খালেদ সানোয়ার; আওয়ার ইসলাম

সবাই বলেন ইসলামপন্থীরা পরিবেশ আন্দোলন সম্পর্কে নীরব কেনো? রামপালের প্রকল্প সম্পর্কে কিছু বলছেন না কেন। রামপালে যে বিদূৎ হবে সেটা নিয়েই আপাতত চিন্তা করছি।

ইসলামপন্থী বলতে আপনারা কি বুঝছেন। বর্তমান কওমি মাদরাসায় পড়ুয়া রাজনীতিকদের দিকেইতো আঙ্গুল দিচ্ছেন । কওমি মাদরাসা এলেই কি রাজনীতিতে বরকত চলে আসে ?

কওমি মাদরাসা জিনিসখান কি? তার গন্ধের খবর কি জানেন? গাধাগাধি করে থাকা এক ঝাক ছাত্রের আবাসিক পড়াশুনা । আকাবির আসলাফ বলতে বলতে এক পেরেশান কাফেলা । ফলে সমাজ রাষ্ট্র কিভাবে চলে তার দিকে নজর দেওয়ার পরিবেশ কই? রাজনীতি একটি বহমান নদি তারও একটা গতি প্রকৃতি আছে। ফলে রাজনীতির ওজহে তাসমিয়া বুঝার জন্য যে প্রকার সাধনা পাঠ করা উচিত তার কি প্রস্তুতি কওমি মাদরাসার আছে? বা কোন সরকার তাদের এই ব্যবস্থা করে দিয়েছে। মানুষ কেন কওমি মাদরাসা ভালোবাসে তাতো জানি না। কওমী একটি ব্রান্ড বা আলামতে তিযারিয়াহ।

কওমির ভেতরে আধুনিক রাজনীতির ধারাপাত কারা চালু করেছেন তাতো জানি না । কওমির বরকত শরাফত হাসিল করার জন্য সবার মাঝেই একটা আগ্রহ লক্ষ্য করি। এতো দিন হল সরকার এখন পর্যন্ত কওমি মাদরাসার পাঠোদ্ধার করতে পারল না । সামনে আরেকটি পরিবর্তন আসছে। ভাতের রাজনীতি ভোটের রাজনীতি। ভোটকে প্রভাবিত করতে হলে কওমির মধ্যে যে গায়েবি মদদ আছে তার ফয়েজ ও বরকত নেয়ার জন্য আবার সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

১৯৪৭ সালে দেশটা যখন পাকিস্তান করা হয় তখনও কওমি আলেমরা ভূমিকা রেখেছিলেন । আবার বর্তমানে বাংলাদেশ নামক দেশটি ভারতের দিকে হেলবে না পাকিস্তানের দিকে দুলবে সেই কাজটিও অনেকেই কওমি দিয়ে করাতে চান। রাজনীতি হলে ইলেকশন হলে কওমি চিন্তাধারার মানুষকে আঙ্গুল দেন। কওমিকে বাংলাদেশের কওম নিয়ে চিন্তা করতে হবে।

সবাই হিন্দুস্তান পাকিস্তান দৌড় দেয় আকাবির আসলাফের চিন্তা করতে করতে। আমরা যেখানে আছি সেখানে কি আকাবির আসলাফ নেই । কেন কওমি মাদরাসা আকাবির আসলাফের ফয়েজ ও বরকত নেয়ার জন্য দিল্লী আর করাচি দৌড়ায়। বাংলাকে কবে কওমি ধারণ করবে। রিয়েল বাংলাদেশের কওমি কবে খুঁজে পাব?

লেখক: আলেম ও গণমাধ্যমকর্মী

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ