শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


কন্যা সন্তান রহমত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

mostofa wadudমোস্তফা ওয়াদুদ; আওয়ার ইসলাম

কন্যা সন্তান আল্লাহর বিশেষ রহমত। সমাজের অনেক মানুষ আছে যারা কন্যা সন্তান হলে নাক সিটকান। নিজেদের পোড়াকপাল ভাবেন। স্ত্রীকে নিন্দা করেন। কোনো স্বামী এমন আছেন, যিনি কন্যা সন্তান জন্মদানের অপরাধে স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেন। নির্যাতন করেন। মাথার চুল ধরে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তার জানা নেই, কন্যা সন্তান সৌভাগ্যের বার্তা নিয়ে আসে। ভাগ্যের হাত প্রসারিত হয়। দুনিয়াতে সে সুখে শান্তিতে বাস করতে পারে। আল্লাহ তায়ালা তার মঙ্গল করেন।

কন্যা সন্তানের অধিকারী দুনিয়াতে যেমন ভাগ্যবান। তেমনি আখেরাতেও সৌভাগ্যশীল। কন্যা সন্তানের অসিলায় সে জান্নাত লাভ করবে। এ ব্যাপারে সুনানে তিনমিজির ১৯১৮ নং হাদিসে তাবেয়ি কুতায়বা রহ. এর বরাতে ও আবূ সাঈদ খুদরি রা. এর সনদে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যার তিনটি মেয়ে থাকে বা তিনটি বোন থাকে সে যদি তাদের সাথে সব সময় সদয় ব্যবহার করে তবে অবশ্যই সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তিরমিজি, ২য় খণ্ড, হাদিস নং-১৯১৮

অপর হাদিসে আছে হযরত আলা ইবনু মাসলামা রহ. আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মেয়ে দিয়ে যাকে পরীক্ষার সম্মুখীন করা হয়, সে যদি তাদের বিষয়ে ধৈর্যধারণ করে তবে তারাই তার জন্য জাহান্নামের পথে পর্দা (বাঁধা) হয়ে দাঁড়াবে। তিরমিজি শরিফ ২য খণ্ড, হাদিস নং- ১৯১৯

যার মেয়ে সন্তান আছে। তিনি যদি তাদের উত্তম শিক্ষা দেন। কুরআন-হাদিসের শিক্ষা দেন। ইসলামের সকল হুকুম আহকাম অনুযায়ী পরিচালনা করেন। তাদের সঠিকভাবে লালন পালন করেন তাহলে তিনি এর বিনিময়ে জান্নাত লাভ করবেন এবং জান্নাতে রাসূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সান্নিধ্য লাভ হবে। এ ব্যাপারে মুহাম্মদ ইবনু ওয়াযীর আল-ওয়াসিতি রহ আবূ বাকর ইবনু’উবায়দিল্লাহ ইবনু আনাস ইবনু মালিক রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দুটো মেয়ে সন্তান লালন-পালন করবে সে আর আমি এভাবে পাশাপাশি জান্নাতে প্রবেশ করব। এরপর তিনি দুটো আঙ্গুল ইশারা করে দেখালেন। তিরমিজি শরীফ, ১৯২০

অপর হাদিসে কন্যা সন্তানের অধিকারী পিতা-মাতার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যার তিনটি মেয়ে থাকে কিংবা তিনটি বোন থাকে অথবা দুটি মেয়ে বা দুটি বোন থাকে সে যদি তাদের সাথে সব সময় সদয় ব্যবহার করে এবং তাদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করে তবে তার জন্য রয়েছে জান্নাত। সুনানে তিরমিজি, ১৯২১

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন, যার তিনটি মেয়ে কিংবা তিনটি বোন থাকে অথবা দুইটি মেয়ে কিংবা দুইটি বোন থাকে সে যদি তাদের সাথে সবসময় সদয় ব্যবহার করে এবং তাদের বিষয়ে আল্লাহকে ভয় করে তবে তাঁর জন্য রয়েছে জান্নাত। জামিয়ূত তিরমিজি, ১৯২২

আরআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ