বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫


নিরীহ আলেম-ওলামাদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

Ifter Mahfil Of IAB copyঢাকা : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, গণঅভিযানের নামে গণগ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। সাঁড়াশি অভিযানে দেশব্যাপী সাধারণ মানুষ, নিরীহ আলেম-ওলামাদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে। সাঁড়াশি অভিযান জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে, ফলে মানুষ ভয় ও আতঙ্কিত অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।

আজ ১৪ জুন বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ-এর উদ্যোগে সুধীজনদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের ঢাকা মহানগর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, উত্তর সেক্রেটারী মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, আলহাজ্ব আব্দুল আউয়াল মজুমদার, মাওলানা বাছির উদ্দিন মাহমুদ, এইচ এম সাইফুল ইসলাম, শেখ মুহাম্মদ নুর-উন নাবী, হুমায়ুন কবীর, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, ডা. শহিদুল ইসলাম, মাওলানা নজরুল ইসলাম, নুরুজ্জামান সরকার, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, এমদাদুল ফেরদাউস, নজরুল ইসলাম খোকন, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, আলহাজ্ব মুহাম্মদ ইসমাঈল, জাহাঙ্গীর আলম, মুহাম্মদ ইবরাহীম কোব্বাদী প্রমুখ। ইফতার মাহফিলে অনেক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিগণ অংশ গ্রহণ করেন।

মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, ইসলাম এসেছে কল্যাণের জন্য। আর মাহে রমজান সেই কল্যাণ আরো শাণিত করেছে। স্বাধীনতার ৪৫ বছর অতিবাহিত হলেও দেশের মানুষ শান্তি ও মুক্তি পায়নি। একশ্রেণির মানুষ এখনও বস্তি ও ঝুঁপড়িতে মানবেতর বসবাস করছে, অপরদিকে আরেক শ্রেণির মানুষ অতিবিলাসী জীবনযাপন করছে। ইসলাম ইনসাফপূর্ণ নীতিতে বিশ্বাসী। ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে না পারলে চরম এই বৈষম্য দূর হবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন বলেন, আল্লাহ মানুষকে তাঁর দাসত্ব করতে সৃষ্টি করেছেন। গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা আল্লাহর দাসত্ব থেকে আমাদের ফিরিয়ে নিতে চায়। এ সকল কুফরি মতবাদের অবসান করে ইসলামকে বিজয়ী করার মধ্যেই মাহে রমজানের স্বার্থকতা নিহিত।

অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকার নাস্তিক-মুরতাদ, বামদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিতর্কিত শিক্ষানীতি ও প্রণীত শিক্ষা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সর্বনাশা হিন্দুত্ববাদী ও নাস্তিক্যবাদী চেতনায় গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।

মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, রমজানের শিক্ষা নিয়ে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও কায়েমী স্বার্থবাদের মুলোৎপাটন করে ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ওলামা ও সুধীজনদেরকেও ভূমিকা রাখতে হবে। তিনি বলেন, ওলামা ও সুধীজনকে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, মাহে রমজান আমাদেরকে আল্লাহভীরু হতে শিক্ষা দিয়ে তাকওয়াভিত্তিক সমাজ গঠনের শিক্ষা দেয়। ইনসাফ ও ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ গঠন ব্যতীত সমাজের স্থিতিশীল ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা বহাল রেখে কিয়ামত পর্যন্ত শান্তির আসা করা যায় না। তিনি সকলকে ইসলামের সুমহান আদর্শে ফিরে আসার আহ্বান জানান।

আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম / এআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ