শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


রমজানে নারীর কাজের রুটিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ramadan-woman_ourislam24নাঈমা তামান্না : প্রতিটি মুসলিম রমণী বিপুল আনন্দ ও আগ্রহের সাথে রমজান মাসকে স্বাগত জানায় । কারণ সংসার ঘরবাড়ি সামলাতে সামলাতে এই মাসের মত অন্য কোন মাসে তাদের এতো ইবাদত বন্দেগী করার ফুরসত মেলে না।

এই একটা মাস, যে মাসে প্রত্যেক আমলের সাওয়াব সত্তরগুণ বৃদ্ধি করে দেয়া হয়। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের বিশেষ সুযোগ এ মাসেই। এ মাসে শয়তানকে শিকলাবদ্ধ করে রাখা হয়। জান্নাতের দরজাসমুহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমুহ বন্ধ করে দেয়া হয়। দৈনিক অগণিত জাহান্নামিকে মুক্তি দেয়া হয়। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, বনী আদমের সমস্ত ভালো কাজ তাদের নিজেদের জন্য, একমাত্র রোজা হল আমার জন্য। সুতরাং রহমত, বরকত, নাজাত ও কল্যাণের এই মহিমান্বিত মাসের একটি মুহূর্তও বিফলে যেতে দেয়া যাবে না। তাই প্রত্যেকের উচিত হবে রমজানের দিনগুলো কীভাবে কাটাবে তার একটা খসড়া করে ফেলা। সময়টাকে ভাগ করে নেয়া। বিশেষ করে নারীদের জন্য এটা অতীব জরুরি। প্রয়োজনে রুটিন করে তা ঘরের দেয়ালে টানিয়ে দেয়া যেতে পারে। যাতে আমলে কোন প্রকার কমতি না থাকে।

গৃহিণীদের কাজের তালিকা ও কর্মজীবী মহিলাদের কাজের তালিকা ভিন্ন হওয়ায় তাদের রুটিনও ভিন্ন হবে। ছোট বাচ্চাওয়ালা মায়েদের ব্যস্ততা অন্যরকম। যদিও তাদের জন্য রুটিন ফলো করা কষ্টসাধ্য তবুও চেষ্টায় ত্রুটি রাখবে না। তাদের জন্য করণীয় হবে যথাসম্ভব বাচ্চার ঘুমের সময়টা পূর্ণ কাজে লাগানো। তবে রুটিন অবশ্যই করবে। তাহলে আমলের তাকাযা থাকবে। রুটিনে যা থাকতে পারে

১. সংসারের কাজ, ঘরদোর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা, রান্নাবান্না ও আনুসাঙ্গিক কাজকর্ম কখন আঞ্জাম দেবে এবং সে কাজে কতটুকু সময় ব্যয় করবে।
২. কোন কোন ওয়াক্তে দৈনিক কয় রাকাত নফল নামাজ পড়বে।
৩. দৈনিক কতপারা কুরআন তেওয়াত করবে।
৪. সুন্নত আমলের খাতায় সমস্ত সুন্নত আমলের পাশাপাশি মেসয়াকের হিসেব থাকা জরুরি।
৫. দোয়া ও জিকির আজকারের জন্য একটা সময় নির্ধারণ করা।
৬. বিশ্রামের সময়টুকুও নির্ধারিত হলে ভালো হয়। রাতে কত সময় ঘুমাবে সেটাও তালিকায় থাকতে পারে।

রহমত, বরকত, নাজাত ও কল্যাণের এই মহিমান্বিত মাসের একটি মুহূর্তও বিফলে যেতে দেয়া যাবে না। তাই প্রত্যেকের উচিত হবে রমজানের দিনগুলো কীভাবে কাটাবে তার একটা খসড়া করে ফেলা। সময়টাকে ভাগ করে নেয়া। বিশেষ করে নারীদের জন্য এটা অতীব জরুরি।

ইবাদতের সময় ব্যাতিত সাংসারিক বা অন্যান্য কাজের পুরো সময় ইস্তেগফার ও জিকিরে কাটালে দিগুণের উপর দিগুণ প্রতিদান মিলতে থাকবে। রমজান মাসের তোহফা হিসেবে আল্লাহ তায়ালা খাবারের হিসাব তুলে নিয়েছেন। কিন্তু এই রোজায় অপচয় হয় সবচেয়ে বেশি। অপচয়রোধে গৃহিণীদের খুবই সতর্ক থাকতে হবে। পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য ও রুচির দিকে লক্ষ্য রেখে প্রয়োজন মাফিক খাবার তৈরি করবে। যেন খাবার নষ্ট না হয়। পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যে গরিবদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যথাসম্ভব দান সদকা ও হাদিয়ার মাধ্যমে তাদের উপকার করা। আল্লাহ আমাদের রোজাকে কবুল করুন।

আওয়ার ইসলাম ২৪ ডটকম / এআর


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ